১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন ২০২৫
১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন ২০২৫ অনেক ব্যবহারকারী কম বাজেটে এমন ফোন
খোঁজেন, যা পারফরমেন্স, ক্যামেরা, ব্যাটারি এবং ডিজাইন সহ সবদিক থেকেই
মানসম্পন্ন।
আজ আমরা আলোচনা করব ২০২৫ সালে ১২ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া কিছু ভাল ফোন, যেগুলো
আপনি নির্ভরতার সাথে কিনতে পারেন। এবং এগুলো বাজেট ফ্রেন্ডলি যা আপনার সাধ্যের নাগালে রয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ ১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন ২০২৫
- ১২০০০ টাকার মধ্যে সেরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কোনটি
- বাজেটের মধ্যে সেরা স্মার্টফোনের পারফরমেন্স পর্যালোচনা
- ১২ হাজার টাকার মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ক্যামেরা কোয়ালিটি
- ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ সহ ১২ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন
- ১২ হাজার টাকার গেমিং পারফরমেন্স স্মার্টফোন
- সেরা ডিসপ্লে সহ ১২ হাজার টাকার স্মার্টফোন
- ১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো স্টোরেজ এবং র্যাম বিশিষ্ট স্মার্টফোন
- ১২ হাজার টাকার ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড স্মার্টফোন
- ১২ হাজার টাকার সেরা ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি যুক্ত স্মার্টফোন
- ১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোনের তালিকা
- ১২ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্ট ফোন কি ভালো হবে ?
- লেখকের মতামত
১২০০০ টাকার মধ্যে সেরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কোনটি
১২,০০০ ডাকার মধ্যে ভালো ফোন খোঁজার সময় কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে মাথায় রাখতে
হবে। যদিও এই বাজেটে খুব বেশি কিছু পাওয়া যায় না, তবে কিছু মানসম্মান ডিভাইস
পাওয়া সম্ভব। নিজের উল্লেখিত কিছু গুণাবলী বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
Ram ও স্টোরেজ-আপনার ফোনে অন্তত ৮ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজ থাকা
উচিত, অথবা ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজও ভালো বিকল্প হতে পারে।
প্রসেসর/চিপসেট মিড - রেঞ্জের Snapdragon, Mediatek, Unisoc অথবা
Helio সিরিজের কিপ সেট খুঁজুন। ডিসপ্লে HD+ কিংবা FHD+ ডিসপ্লে সঙ্গে, যদি
সম্ভব হয়, রিফ্রেশ রেটের উপরেও নজর রাখুন। ক্যামেরা প্রধানত ৪৮
মেগাপিক্সেল বা ৫০ মেগাপিক্সেল থাকলে তা আরো ভালো হবে। ব্যাটারি লাইফের জন্য
4000mah অথবা এর বেশি হওয়া উচিত।
4G নেটওয়ার্ক সুবিধে থাকা উচিত এবং সিগনাল গ্রহণের ক্ষমতা ভালো হলে আরো
কার্যকর হবে। 5G সুবিধা থাকলে সেটা অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে বিবেচনা করুন।
যতটা সম্ভব ভালো ব্র্যান্ড নির্বাচন করুন, এবং ওয়ারেন্টির উপরে নজর দিন। বাজেট
সীমাবদ্ধ থাকার কারণে কিছু বিচার করতে পারে। যেমন, অনেক ফোনে 5G সুবিধা পাওয়া
যাবে, কিন্তু ক্যামেরার অতিরিক্ত ফিচার কম থাকে। সুতরাং আপনার চাহিদার দিকে
মনোযোগ রেখে বেছে নিতে হবে আপনার পছন্দের ফোন।
| মডেল | প্রায় মূল্য | মূল বৈশিষ্ট্য |
|---|---|---|
| Realme C63 | ১১,২১৮ টাকা | বাজেট রেঞ্জ,সাধারণ ব্যবহার |
| Realme Narzo N63 | ১১,২১৮ টাকা | ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা |
| Realme C61 | ১০,৫৪৬ টাকা | ভালো ব্যালেন্স |
| Vivo Y18 | ১১,৮৭৮ টাকা | ব্রান্ড সমর্থন বেশি |
| Infinix Smart 8 Plus | ১০,২৯৪ টাকা | ভালো অপশন বাজেট সীমার মধ্যে |
| Xiaomi Redmi 12C | ১০,৫৫৮ টাকা | Helio G85 চিপসেট |
এই মডেল গুলোর মধ্যে "সেরা" নির্ধারণ করা সহজ নয় - কারণ "সেরা" সৃষ্টির মানে মানুষের চাহিদা, ব্যবহারের পদ্ধতি ও প্রত্যাশার উপর ভিত্তি করে ভিন্ন হতে পারে। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে "সেরা" মডেল হতে পারে Realme Narzo N63 (বা Realme C63)। ব্লগ - পাঠকদের জন্য এটি বেশ ব্যালেন্সড মোবাইল ফোন এবং এর কিছু বিশেষ বিশেষত্ব রয়েছে দাম বাজেটের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও এটি একটি চমৎকার পছন্দ। এতে ৫০ MP ক্যামেরা রয়েছে, যা অন্য ফোনগুলোর মধ্যে তুলনামূলকভাবে অনন্য। Realme ব্র্যান্ডের সাপোর্ট, ওয়ারেন্টি এবং রিপেয়ার সবগুলো যথেষ্ট ভালো মানের। পারফরমেন্স এবং বাস্তব জীবনে ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি খুব বেশি কিছু হারাবেন না। তবে, যদি আপনি গেমিং বা উচ্চ রিফ্রেশ রেটের দিকে আগ্রহী হন, তাহলে হয়তো অন্যান্য মডেল গুলো দেখতে হতে পারে। যা,১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন গুলোর বাইরে স্থান পাবে।
বাজেটের মধ্যে সেরা স্মার্টফোনের পারফরমেন্স পর্যালোচনা
বাজেট স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে সম্পূর্ণভাবে গঠন করে। ১২,০০০ টাকার (বা কাছাকাছি) একটি ফোন থেকে আমরা সাধারণত উচ্চমানের চিপসেট বা গ্রাফিক্স প্রসেসর আশা করি না, তবে সঠিকভাবে সামঞ্জস্য করলে দৈনন্দিন কার্যক্রম, সোশ্যাল মিডিয়া, হালকা গেমিং এবং মিডিয়া প্লেব্যাক ভালোভাবে চলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, Realme Narzo N63 মডেলটিতে Unisoc T612 চিপসেট ব্যবহৃত হয়েছে, যা ১২ ন্যানোমিটার প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত এবং সঙ্গে রয়েছে Mali - G57 GPU। বাস্তব ব্যবহার পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই চিপস একটি হালকা ও মাঝারি কাজ, যেমন ওয়েব ব্রাউজিং, ইউটিউব ভিডিও স্ট্রিমিং এবং কিছু সামাজিক অ্যাপ্লিকেশন পরিচালনায় দক্ষ।
তবে কিছু, গেমিং বা ভারী অ্যাপ ব্যবহারের সময় মাঝে মাঝে ল্যাগ বা ফ্রেম ড্রপ হতে পারে। ব্যাটারি পারফরম্যান্স চমৎকার - ৫,০০০ mAH ক্ষমতার ব্যাটারি এবং ৪৫W দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তির ফলে আপনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করতে পারবেন এবং দ্রুত চার্জও করতে পারবেন। তবে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, একসাথে অনেক কাজ করা বা গ্রাফিক্স - ভিত্তিক গেম খেলার সময় ডিভাইসে কিছুটা উত্তাপ অনুভূত হতে পারে। তাহলে, বাজেটে ফোনগুলোর পারফরমেন্স একদম নিখুঁত বলা সম্ভব নয়। তবে, যেই টাকার পরিমাণই হোক না কেন, সেই সীমাবদ্ধতার মধ্যে কিছু পরিমাণের পারফরমেন্স আশা করা যৌক্তিক।
১২ হাজার টাকার মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ক্যামেরা কোয়ালিটি
১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন নির্বাচন করা শুধু "মেগাপিক্সেলের" সংখ্যা বিচারের বিষয় নয়। এজন্য আপনাকে সেন্সর গঠন, অপটিক্যাল গুন, সফটওয়ার প্রসেসিং এবং আলোর অবস্থানে ক্যামেরার পারফরমেন্সের দিকগুলো বিবেচনায় নিতে হবে। ১২,০০০ টাকার বাজেটে বেশ কয়েকটি ফোনে ৪৮ এমপি বা ৫০ এমপি প্রধান রিয়ার ক্যামেরা পাওয়া যাবে, যেমন Xiaomi Redmi 12C এবং Tecno Spark 8T। এসব ফোন প্রাকৃতিক দৃশ্য, রং ও বিস্তারিত ছবির ক্ষেত্রে দুর্দান্ত পারফরমেন্স প্রদান করে। যদিও ফোকাস স্পিড এবং নাইট মোডের আলোর স্থিতিস্থাপকতা কিছুটা সীমিত, কম আলোতে ছবি তোলার সময় শোরের মাত্রা সাধারণত বেড়ে যায় এবং ছবি হয় জাম্পি।
ফ্রন্ট ক্যামেরার সাধারণ রেজুলেশন ৫ থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হয়ে থাকে, যা ভিডিও কল এবং সাধারণ ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট। তবে, যদি পোট্রেট বা সেলফির ক্ষেত্রে উচ্চ মানের প্রত্যাশা করা হয়, তাহলে হয়তো কিছুটা হতাশ হতে পারেন। এটি ভালো বাজেট ফোন ক্যামেরার জন্য আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য প্রয়োজন - উজ্জ্বল আলোতে ছবি তোলার সময় HDR মোট ব্যবহার করা এবং হাত স্থির রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, সফটওয়্যার আপডেট এবং ক্যামেরার অপটিমাইজেশনও ও ছবির রং ও ব্যালেন্স উন্নত করতে সাহায্য করে। বলা যায়, এই দামে ক্যামেরার গুণমান তেমন চমকপ্রদ নয়; তবে সঠিক ফোন নির্বাচন করলে প্রতিটি মুহূর্তকে সুন্দরভাবে ক্যাপচার করার মত ছবি পাওয়া সম্ভব।
আশা করি এ তথ্য আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
আর পড়ুন ঃ শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ সহ ১২ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন
১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন ও ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ দেই এমন কিছু ফোন হচ্ছে Realme Narzo N63 এবং Infinix Smart 8 Plus উভয়েরই রয়েছে ৫,০০০ mAh ব্যাটারি, যা দৈনন্দিন ব্যবহারে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাকআপ প্রদান করে। আপনার প্রয়োজন মাফিক স্বাচ্ছন্দ্যে ফুলগুলি থেকে একটি নির্বাচন করতে পারেন। যদি আপনার দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফের খুঁজে থাকেন তবে, Realme Narzo N63 আপনার জন্য সেরা। অন্যদিকে, যদি ক্যামেরা বা ডিসপ্লে গুণমানের দিকে আপনার বেশি গুরুত্ব থাকে, তাহলে Infinix Smart 8 Plus অথবা Vivo Y18 এরমধ্যে নির্বাচন করা যেতে পারে ।
১২ হাজার টাকার গেমিং পারফরমেন্স স্মার্টফোন
২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের বাজারে ১২,০০০ টাকার বাজেটে ভালো গেমিং পারফরমেন্স প্রদানকারী স্মার্টফোনের সংখ্যা বেশি সীমিত। এই দামে সাধারণত এন্ট্রি - লেভেল স্মার্টফোন পাওয়া যায়। তবে কিছু বিশেষ মডেল রয়েছে, যেগুলোর প্রসেসর, ডিসপ্লে এবং ব্যাটারি গেমিং এর জন্য যথেষ্ট কার্যকরী (যেমন PUBG Mobile এবং Free Fire মিডিয়াম সেটিংসে স্মুথভাবে খেলার জন্য)। আমি সর্বশেষ বাজার তথ্যের ভিত্তিতে ৩টি সেরা অপশন নির্বাচন করেছি, যেগুলোর দাম ৮৫০০ থেকে ১১৫০০ টাকার মধ্যে রয়েছে (অফিসিয়াল অফিসিয়াল, স্টোর অনুযায়ী কিছুটা পার্থক্য হতে পারে) মডেল গুলো হল - Realme C63, Realme C61, Realme Narzo N63
এগুলো গেমিং পারফরমেন্সের জন্য ভালো হওয়ার কারণ এজন্যই যে, এগুলোর প্রসেসর বাজেটের মধ্যে গেমি অভিজ্ঞতার জন্য সেরা যেগুলো হচ্ছে Helio G85 (M05,C63), যখন UnisocT612 (N61,C61) লাইট গেমস সচল করতে সক্ষম। এগুলোর ডিসপ্লেতে 90Hz রিফ্রেশ হয়ে রয়েছে, যা গেমিং এর সময়ই মোশন ব্লারকে কমাতে সহায়তা করে। ৫০০০ mAH ব্যাটারি সহ ফার্স্ট চার্জিং সুবিধা রয়েছে, যা 4 - 5 ঘন্টা ধারাবাহিক গেমিং সামথ্য প্রদান করে। কিছু কার্যকরী ফলো করলেই আরো পারফরমেন্স ভালো পেতে পারি যেমন গেমিং পারফরমেন্স উন্নত করার জন্য RAM এক্সপেন্ড ফিচার ব্যবহার করুন। দাম যাচাই করতে Daraz, Pickaboo অথবা অফিসিয়াল স্টোরসমূহে দেখুন। যদি আপনার বাজেট ১৫,০০০ টাকায় বাড়ে, তাহলে আপনি আরো কিছু অপশন যেমন Poco C75 পেতে পারেন।
সেরা ডিসপ্লে সহ ১২ হাজার টাকার স্মার্টফোন
২০২৫ সালে ১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন ও বাজেট সেগমেন্ট স্মার্ট ফোন কেনার ক্ষেত্রে ডিসপ্লে কোয়ালিটি কে সর্বাধিক উত্তর দেওয়া হচ্ছে। ইউটিউব দেখতে, গেম খেলতে অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার স্ক্রল করতে আগ্রহী ব্যবহারকারীদের জন্য উজ্জ্বল রং, উচ্চ ফ্রেশ রেট এবং ভালো ব্রাইটনেসযুক্ত ডিসপ্লে এখন অপরিহার্য। বর্তমানে ১২,০০০ টাকার মধ্যে কিছু ফোন পাওয়া যাচ্ছে, যা এই দিক থেকে চমৎকার পারফর্ম করছে। মডেলগুলো হলো - Infinix Smart 8 - ডিসপ্লে ৬.৬ ইঞ্চি HD+ পাঞ্চ হোল ডিসপ্লে, ৯০Hz রিফ্রেশ রেট।
Infinix Smart 8 এর "ম্যাজিক রিং" ডিজাইন এবং বড় ডিসপ্লে থেকে ভিডিও দেখার এবং গেম খেলার জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত করে তুলে। এই ডিসপ্লেটি চোখের জন্য আরামদায়ক এবং সূর্যের আলোতে অত্যন্ত পরিষ্কার দেখা যায়। Realme C63 - ডিসপ্লে ৬.৭৪ ইঞ্চি, ৯০Hz রিফ্রেশ রেট। Realme C63 চোখের জন্য আরামদায়ক ডিসপ্লে গেমিং ও ভিডিও পারফরমেন্স এর জন্য খুব উপকারী। Realme C63 এর অধিক ব্রাইটনেস আউটরের জন্য সেরা। ৯০ - ১২০ Hz রিফ্রেশ রেটের ফলে মোশন ব্লার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, আর HD+ রেজুলেশন সরবরাহ করে স্পষ্ট ভিজুয়াল অভিজ্ঞতা। ৫০০০mAH এর অধিক ক্ষমতার ব্যাটারি দীর্ঘ সেশনগুলোর জন্য সহায়ক।
আর পড়ুন ঃ ক্যানন ক্যামেরা বাংলাদেশ প্রাইস
১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো স্টোরেজ এবং র্যাম বিশিষ্ট স্মার্টফোন
বাংলাদেশে ১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন ২০২৫ বাজেটে কিছু চমৎকার স্মার্টফোন পাওয়া যাবে, যেগুলোর RAM ৮ থেকে ৬ জিবি+ এবং স্টোরেজ ৬৪ থেকে ১২৮ জিবি+। এই ফোনগুলো মাল্টি টাস্কিং, অ্যাপ ইন্সটল এবং ফাইল সংরক্ষণের জন্য আদর্শ। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই দামে ভার্চুয়াল RAM সম্প্রসারণ বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যায়, যা সিস্টেমের পারফরমেন্স উন্নত করে। সর্বশেষ বাজারে তথ্য অনুযায়ী RAM এবং স্টোরেজের উপর ভিত্তি করে চারটি চারটি সেরা মডেল বেছে নেওয়া যেতে পারে যার দাম ৮,৫০০ - ১১,৫০০ টাকার মধ্যে, তবে স্টোরেজর ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে। স্মার্ট ফোন মডেলগুলো হল - Realme C63, Realme C61, Xiaomi Redmi 12C, Infinix Smart 8। Realme C61 - এ ৬ GB ফিজিক্যাল RAM যা ভারী ব্যবহারকারীর জন্য আদর্শ। অন্যান্য মডেল, যেমন C63 এবং Redmi 14C, 8GB - সংযোজন পাওয়া ভার্চুয়াল RAM - এর মাধ্যমে ৮GB - এর মত কার্যক্ষমতা উপস্থাপন করে। এর ফলে এক ক্র্যাশের হার কমে যায় এবং সুইচিং হয় আরও স্মুথ। ১২৮ GB বেস স্টোরেজ (C63,C61, এবং Redmi 14C) সাধারণভাবে অ্যাপস, গেমস ও মিডিয়ার জন্য যথেষ্ট।
সব ফোনেই microSD স্লট রয়েছে, যা ১ TB পর্যন্ত এক্সপেন্ড করা সম্ভব। Helio G85/G81 প্রসেসর RAM এর কার্যকারিতা উন্নত করে, ৯০ - ১২০ Hz ডিসপ্লে , স্ক্রলিংকে স্মুথ করে তুলে ধরে। ৫০০০ + mAH ব্যাটারি দীর্ঘ ব্যবহারের জন্য সক্ষম। Realme UI এবং MIUI - RAM বুষ্ট ফিচার গুলি অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে। সেটিংস থেকে ভার্চুয়াল RAM সক্রিয় করুন এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্স বন্ধ করুন। দাম চেক করতে Daraz, Pickaboo বা অফিশিয়াল স্টোর (যেমন Realme, Xiaomi) পরিদর্শন করুন। যদি আপনার বাজেট ১৫,০০০ টাকাই বৃদ্ধি করেন, তাহলে আপনি ৮GB RAM সংস্করণ (যেমন Poco C65) পেতে সক্ষম হবেন।
১২ হাজার টাকার ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড স্মার্টফোন
বাংলাদেশের বাজারে ১২,০০০ টাকার বাজেটে ফাস্ট চার্জিং (১৮W+) সমর্থিত স্মার্টফোনের বেশ কিছু ভালো বিকল্প রয়েছে, যা দ্রুত চার্জিং এর সুবিধা প্রদান করে এবং দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ নিশ্চিত করে। এই দামের মধ্যে ৪৫W পর্যন্ত চার্জিং সাপোর্ট পাওয়া যায়, যা ৫০০০ mAH তাদের ব্যাটারি ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে ৫০% পর্যন্ত চার্জ করার সক্ষমতা রাখে। এগুলো হলো Realme C63, Realme Narzo N63, Realme C61। রিয়েলি মডেলগুলোতে ৪৫W সুপারফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি রয়েছে, যা শুধুমাত্র ২৫ থেকে ৩০ মিনিটে ০ - ৫০% চার্জ করতে সক্ষম। অন্যদিকে Redmi ডিভাইস গুলোতে ১৮W এর একটি মানসম্মত কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য চার্জিং সিস্টেম রয়েছে এবং সবগুলো মডেলের অতিরিক্ত তাপের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবস্থা বিদ্যমান।
৫০০০ mAH বা তার অধিক ক্ষমতার ব্যাটারি এক থেকে দুই দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে, এবং ৯০ থেকে ১২০Hz ডিসপ্লে স্মুথ স্ক্রোলিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রদান করে। নিত্যদিনের কাজে এবং হালকা গেমিং এ প্রসেসর গুলো ভালো কার্যক্ষমতা প্রদর্শন করে। নিরাপত্তার স্বার্থে অবশ্যই অরিজিনাল চার্জার ব্যবহার করুন। দাম জানার জন্য দারাজ, পিকাবু অথবা অফিসিয়াল স্টোর পরিদর্শন করতে পারেন। যদি আপনার বাজেট ১৫,০০০ টাকায় বৃদ্ধি হয় তাহলে ৩৩W বা তার উপরের চার্জিং ক্ষমতার অপশন গুলো (যেমন Infinix Smart 8) দেখতে পারেন।
১২ হাজার টাকার সেরা ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি যুক্ত স্মার্টফোন
বাংলাদেশের বাজারে ১২,০০০ টাকার টাকার মধ্যে এমন স্মার্টফোনের অপশন রয়েছে যা ডিজাইন এবং নির্মাণ গুণগত মানে কেন্দ্রিত। এসব ফোনের স্লিম ডিজাইন, প্রিমিয়াম ফিনিস (গ্লসি অথবা ম্যাট), IP54+ ডাস্ট ও পানি প্রতিরোধ সক্ষমতা এবং হালকা নির্মাণ রয়েছে। এর ফলে ফোনগুলোতে হাতে নেওয়ার সময় একটি বেইমান অনুভূতি প্রদান করে এবং দৈনন্দিন ব্যবহারে স্থায়ী হয়। ফোনগুলো হলো - Realme C63, Realme C61, Realme Narzo N63।
Realme C61 - এর চমৎকার প্রতি স্লিম বডি (৭.৮৪mm) এবং হালকা ওজনের প্রিমিয়াম অনুভূতি তৈরি করে, C63 ০ এর IP54 রেজিস্ট্যান্স এর মাধ্যমে স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। প্রতিটি ফোনেই ব্যবহৃত হয়েছে প্রিমিয়াম প্লাস্টিকের উপাদান এবং IP54 রেজিস্ট্যান্স ফিচার, যা এই বাজেটের মধ্যে খুবই বিশেষ - ড্রপ, স্ক্র্যাচ এবং স্প্ল্যাশ প্রুফ। ৯০ Hz ডিসপ্লে নিশ্চিত করে নিরবিচ্ছিন্ন ভিউয়িং অভিজ্ঞতা, ৫০০০mAh ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী ক্ষমতা প্রদান করে, এবং প্রসেসরটি দৈনন্দিন কাজগুলো সহজেই পরিচালনা করে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী রংয়ের বিকল্পগুলি পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।
আর পড়ুন ঃ ইন্সটাগ্রাম ক্রাশিং সমস্যার সমাধান
১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোনের তালিকা
১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন ২০২৫ অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের বাজারে ভালো স্মার্টফোনের বিভিন্ন অপশন উপলব্ধ রয়েছে। এই ফোনগুলো এন্ট্রি-লেভেল ব্যবহারকারীদের জন্য সামগ্রিক পারফরম্যান্স, ব্যাটারি জীবন, ডিসপ্লে এবং ডিজাইনের দিক থেকে আদর্শ একটি পছন্দ। দৈনন্দিন কাজ, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহৃত করা, হালকা গেমিং এবং ভিডিও দেখা এগুলো দিয়ে অত্যন্ত মসৃণভাবে করা সম্ভব।
বাজেটের মধ্যে ভালো মোবাইল অপশন এর মধ্যে রয়েছে Realme C63, যার দাম প্রায় ১১,২১৮ টাকা। এটি Unisoc T612 প্রসেসর নিয়ে এসেছে এবং ৪/১২৮ GB স্টোরেজের বিকল্পও রয়েছে। আরেকটি ভালো অপশন হল Realme C61, যার মূল্য ১০,৫৪৬ টাকা। এই ফোনে ৫০ MP রিয়ার ক্যামেরা এবং ৯০ Hz রিফ্রেস রেটের ডিসপ্লে রয়েছে। Vivo Y18, ১১.৮৭৮ টাকাই, বিশেষ করে ফ্রন্ট ফটো এবং মিডিয়া ব্যবহারের জন্য বেশ সুবিধাজনক। এছাড়া, Infinix Smart 8 Plus, যার মূল্য ১০,২৯৪ টাকা, মডারেট পারফরমেন্সের খুজে থাকা ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ।
১২ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্ট ফোন কি ভালো হবে ?
১২,০০০ টাকার মধ্যে স্মার্টফোন কিনতে গেলে বাজেটের কিছু সীমাবদ্ধতা মানতে হবে-তবে এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ভালো ফলপ্রসূতা পাওয়া আশা করা যায়। তবে, '"এটি ভালো হবে কিনা না?" এই প্রশ্নের উত্তর পুরোপুরি আপনার ব্যবহারের ধরন এবং প্রত্যাশার উপর নির্ভর করে। এই দামে আপনি ফ্লাগসিপ টিচার যেমন দুর্দান্ত গেমিং পারফরম্যান্স বা প্রফেশনাল মানের ফটোগ্রাফির মত কিছু আশা করতে পারবেন না। কিন্তু, যদি ফোনটি একটি অপটিমাইজড চিপসেট, ৪GB বা ৬GB RAM, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং যুক্তিসঙ্গত মানের ক্যামেরা ও ডিসপ্লে নিয়ে আসে, তাহলে দৈনন্দিন কাজগুলো-যেমন ওয়েব ব্রাউজিং, ইউটিউব ভিডিও দেখা, সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘোরাফেরা ও হালকা গেম খেলায়-খুবই সহজভাবে করা সম্ভব। বাস্তব অভিজ্ঞতায় এটি প্রমাণিত হয়েছে।
১২,০০০ টাকার মধ্যে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে অত্যাধিক প্রত্যাশা রাখাটা বাস্তবসম্মত নয়- তবে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে এই বাজেটে ভালো কিছু ফোন পাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশের মোবাইল বিক্রেতা ও রিভিউ সাইট MobileDokan উল্লেখ করেছে, Realme Narzo N63 - এর ৫,০০০ mAh ব্যাটারি এবং ৪৫W দ্রুত চার্জিং অত্যন্ত কার্যকর, যা বাস্তব ব্যবহারে লম্বা স্ট্যান্ডবাই সুবিধার প্রদান করে। Reddit - এ একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন-
"The Realme Narzo N63 has good battery life, but the Unisoc processor is a letdown-sluggish with heavy apps and games, and heating issues pop up too. Cameras are fine for daylight but struggle in low light."
এই অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, কিছু মানুষের মতে, ফোনটি ব্যাটারী জীবন অনুযায়ী ভালোভাবে কাজ করে। তবে গেম খেলার সময় প্যারফরম্যান্স ও তাপ নিয়ন্ত্রণে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই, যদি আপনার ব্যবহারের ধরন হালকা থেকে মাঝারি হয়, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও স্ট্রিমিং, বা মেসেজিং, তাহলে, ১২,০০০ টাকার মধ্যে একটি স্মার্ট ফোন "ভালো বিকল্প" হবে। তবে যদি আপনি গেমিং বা উচ্চশক্তির অ্যাপ ব্যবহার করতে চান, তাহলে একটু বেশি বাজেট খরচ করা যুক্তিযুক্ত হবে।
লেখকের মতামত
উন্নতির ফলে বাজেট ফোনে এমন সবকিছু দেখা যাচ্ছে যা এক সময় শুধু মিড - রেঞ্জ বা ফ্লাগশিপ কোন সীমাবদ্ধ ছিল। আমার মতে, এই দামের ফোনগুলোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে ডিসপ্লে ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং পারফরমেন্সের সমন্বয়ের উপর। ২০২৫ সালের প্রযুক্তি বাজারে Realme, Infinix,Tecno এবং Redmi ফ্রেন্ড গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতা চলছে। বিশেষ করে Realme C63, Infinix Smart 8 Plus এবং Redmi কিন্তু স্মার্টফোনে রয়েছে বিশাল ডিসপ্লে, ৫০০০ mAh বা এর বেশি ক্ষমতার ব্যাটারি, এবং স্মুথ পারফরমেন্স নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত RAM ও শক্তিশালী প্রসেসর।
লেখক হিসেবে আমি আপনাদের পরামর্শ দিব যে, ফোন কেনার ক্ষেত্রে শুধু স্পেসিফিকেশন দেখার পরিবর্তে দৈনন্দিন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা কেউ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। উদাহরণস্বরূপ, টাচ রেসপন্স, ক্যামেরা দিনরাতের পারফরমেন্স, চার্জিং সময় এবং সিস্টেম আপডেটের স্থায়িত্ব বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি একাধিক দিকগুলো মিলে যায়, তাহলে বারো হাজার টাকার মধ্যে আপনি এমন একটি ফোন খুজে পাবেন যা সহজেই দৈনন্দিন কাজ, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার এবং হালকা গেমিং সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম।
পরিশেষে বলা চলে, বারো হাজার টাকার মধ্যে একটি ভাল ফোন ক্রয় করা এমন শুধুমাত্র বাজেটের ব্যাপার নয়; এটি একটি চিন্তাশীল বেছে নেওয়ার বিষয়। এ ক্ষেত্রে দাম, ডিজাইন ও পারফরমেন্সের সমন্বয়ে খুঁজে বের করা জরুরী। এরকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে আমার ইনফোনেস্টইন ওয়েব পেজটি আপনার ব্রাউজারে বুকমার্ক করে রাখুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন, ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।




ইনফোনেস্টইনের শর্তাবলী মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট পর্যাবেক্ষন করা হয়।
comment url