মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের ৫ টি সেরা উপায়
বর্তমানে নারীরা আর শুধুমাত্র গৃহস্থলির কাজের মধ্যেই আবদ্ধ নেই। প্রযুক্তি, ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের উন্নতির ফলে মেয়েরা এখন নিজেদের ঘর থেকে বের না হয়েও সহজে উপার্জনের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হচ্ছেন।
যারা পড়ালেখার পাশাপাশি কিছু করতে চান অথবা সংসারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চান, তাদের জন্য ঘরে বসে কাজ করা একটি চমৎকার সুযোগ। আজকের এই লেখায় আমারা মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের ৫ টি সেরা উপায় নিয়ে আলোচনা করবো, যা আপনার জীবন একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের ৫ টি সেরা উপায়
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের ৫ টি সেরা উপায় কেন জানা প্রয়োজন?
বিশ্বব্যাপী, বিশেষত বাংলাদেশের মহিলাদের মধ্যে অনেকেই পরিবারের দায়িত্ব,
সন্তানসেবন অথবা সামাজিক বাধ্যবাধকতার কারণে বাইরে কাজ করার সূযোগ পান না। তবে,
অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া প্রতিটি নারীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নারীর মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে, এটি সংসারের স্বামী কিংবা
পরিবারের উপর নির্ভরতা হ্রাস করে। নিজের সপ্ন পূরণের সম্ভাবনা তৈরি করে। এজন্য
মহিলাদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাদের দক্ষতাগুলোকে কাজে লাগানোর সুযোগ
রয়েছে। সুতরাং ঘরে বসে কাজের সাহায্যে মেয়েরা আজ নিজেদের নতুন পরিচয়
নিচ্ছেন। মেয়েদের জন্য ঘরে বসে রোজগারের পাতটি সেরা উপায় সম্পর্কে জেনে
নেওয়া যাক এখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো কি কি পদ্ধতিতে মাধ্যমে মেয়েরা
সহজেই আয় করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং
বর্তমানে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে ফ্রিল্যান্সিং এর অসাধারণ উপার্জনের সুযোগ
হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বিশেষ করে মেয়েদের জন্য। এটি তাদের জন্য একটি
আশীর্বাদ, কারণ এই মাধ্যমে তারা ঘরের কাজগুলি সঙ্গে যুক্ত থেকে নিজেদের দক্ষতা
ব্যবহার করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে মেয়েরা বিভিন্ন
কাজ যেমন কনটেন্ট লেখালেখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল
মার্কেটিং, অনলাইন টিউশন, এবং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মতো পেশা ঘরে বসেই
করতে পারেন। একটি ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে তারা এই
যাত্রা শুরু করে দিতে পারেন। কোন কাজ শিখে শুরু করবেন ?
ফ্রিলান্সিংয়ে প্রবেশের পূর্বে, প্রথমত আপনাকে আগ্রহ এবং দক্ষতার ভিত্তিতে একটি
দক্ষতা বেছে নেওয়া উচিত। উদাহরণস্বরূপঃ
- যদি লেখালেখি তে আপনারা আগ্রহ থাকে তবে কনটেন্ট রাইটিং বা ব্লগ রাইটিং বেছে নিতে পারেন।
- ছবি বা ডিজাইনের প্রতি ভালোবাসা থাকলে গ্রাফিক ডিজাইন যেমন ফটোশপ বা ইলাস্ট্রেটর একটি ভালো পছন্দ হতে পারে।
- প্রযুক্তিতে আগ্রহ হলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অথবা ওয়ার্ডপ্রেসের দিকে মনোযোগ দিন।
- সোশ্যাল মিডিয়ার উপর সময় ব্যয় করলে ডিজিটাল মার্কেটিং বা এসইওর দিকে নজর দিতে পারেন।
- ইংরেজিতে দক্ষ হলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডাটা এন্ট্রি কাজগুলি আপনার জন্য শুভ হতে পারে।
অনলাইন টিউশন
বর্তমানে ঘরে বসে আয় করার জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে যার মাধ্যমে অনলাইন নিরাপদ,
সহজ এবং সম্মানজনক একটি মাধ্যম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য,
যারা পড়াশোনায় দুঃখ কিন্তু বাইরের চাকরি বা টিউশনে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ
করেন না, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার সুযোগ মাত্র একটি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ এবং
কিছু আত্মবিশ্বাস থাকলে অনলাইন ক্লাস পরিচালনার কাজ শুরু করা সম্ভব। ছোট টিউশন বা
ফ্রি শিক্ষাদানের মাধ্যমে শুরু করুন পরিচিতদের মধ্যে পড়ানোর উদ্যোগ নিন এভাবে
আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। প্রোফাইল তৈরি করুন। ফেসবুক পৃষ্ঠা হোয়াটসঅ্যাপ
গ্রুপ বা লিংক ইন প্রোফাইল খুলে আপনার সেবা প্রচার করতে পারেন। অনলাইন টিউশন কেন
মেয়েদের জন্য একটি ভালো পছন্দ ?
- বাড়িতে থাকার সুবিধাঃ তারা বাইরে বের না হয়ে বাড়িতেই কাজ করার সুযোগ পান।
- সম্মানজনক পেশাঃ শিক্ষকতা একটি সম্মানজনক পেশা যা সমাজে উচ্চ মর্যাদা অর্জন করে।
- সময় পরিচালনাঃ মেয়েরা নিজেদের সুবিধা মতো সময় বেছে নিয়ে কাজ করতে পারেন।
- পারিবারিক দায়িত্বের সাথে সমন্বয়ঃ সংসারের কাজ এবং পেশাগত দায়িত্ব একসাথে পরিচালনা করা সম্ভব।
- নিরাপত্তাঃ বাড়ির নিরাপদ পরিবেশে কাজ করে তারা সুরক্ষিত থাকতে পারেন।
নিজের দক্ষতা মূল্যায়ন করুন আপনি কোথায় বিশেষজ্ঞ তার সঠিকভাবে চিহ্নিত করুন
এবং বুঝার চেষ্টা চালিয়ে যান। Zoom বা Google Meetব্যবহার শিখুন, এই
প্লাটফর্ম গুলো মূলত অনলাইন ক্লাসের জন্য ব্যবহৃত হয়। একটি রুটিন ঠিক করুন,
নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্লাস পরিচালনা করলে ছাত্র ও ছাত্রীরা সন্তুষ্ট থাকতে পারে।
অনলাইন টিউশন শুধুই অর্থ উপার্জনেরএকটি উপায় নয়, এটি নারীদের আত্মনির্ভরতার
একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমও। আপনি যদি শিক্ষাদানে আগ্রহী হন, তাহলে এটি আপনার
ক্যারিয়ারের শুরুতে একটি মূল্যবান পদক্ষেপ হতে পারে। এখন আর ঘরে বসে নিজের নাম
সম্মান ও উপার্জন অর্জন করা অসম্ভব নয় এটি বাস্তবতা।
ইউটিউব ও কন্টেন্ট ক্রিয়েশন
বর্তমানে ঘরে বসে আয় করার জন্য সবচেয়ে সৃজনশীল এবং সম্ভাবনাময় উপায়গুলির
মধ্যে ইউটিউব ও কন্টেন্ট তৈরির জগত অন্যতম। বিশেষভাবে মেয়েদের জন্য এটি একটি
চমৎকার প্লাটফর্ম,যেখানে তারা তাদের নিজস্ব পছন্দ, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কাজে
লাগিয়ে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। যেমন- রান্নার রেসিপি, বিউটি টিপস,
পড়াশোনার নির্দেশিকা, হাতে তৈরি জিনিস, জীবন যাপন বিষয়ক টিপস, ইত্যাদি। কেবল
একটি স্মার্টফোন দিয়েই এই যাত্রা শুরু করা সম্ভব, এবং যদি নিয়মিত মনোযোগী ও
মানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করা যায় তবে ইউটিউব থেকে আয় আসতে পারে- যেমন ভিডিওতে
বিজ্ঞাপন স্পন্সরশিপ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে এটি সত্যি একটি
শক্তিশালী মাধ্যম। ইউটিউব থেকে মেয়েরা যেসব কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন তা তুলে ধরা
হলো।
ইউটিউবে মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন যাদের প্রতিভা এবং
পছন্দের উপর নির্ভর করে এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলঃ
- রান্না এবং কুকিং টিপসঃ সুস্বাদু খাবারের রেসিপি এবং রান্নার কৌশল শেয়ার করতে পারেন।
- বিউটি এবং মেকআপ টিউটোরিয়ালঃ বিভিন্ন মেকআপ শরীরে এবং স্কিন কেয়ার টিপস নিয়ে ভিডিও তৈরি করা যায়।
- স্টাডি টিপস এবং অনলাইন ক্লাসঃ শিক্ষামূলক কনটেন্ট এবং পাঠ্য বিষয়গুলোর উপর উপদেশ দিতে পারেন।
- ক্রাফটিং এবং হস্তশিল্পঃ সেলাই কাটিং এবং বিভিন্ন প্রজেক্ট এর টিউটোরিয়াল দেখাতে পারেন।
- লাইফ স্টাইল এবং হোম অর্গানাইজিংঃ দিনযাপন সাজসজ্জা এবং দৈনন্দিন জীবনের কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
- প্যারেন্টিং এবং মা বাচ্চার জীবনঃ শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং প্যারেন্টিং সম্পর্কিত টিপস শেয়ার করতে পারেন।
- ব্লগ এবং ডেলি লাইফ স্টোরিঃ দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা এবং ভ্রমণের গল্প তুলে ধরতে পারেন।
- অনুপ্রেরণামূলক কথা অথবা গল্প বলাঃ উদ্বুদ্ধ করা বা প্রেরণামূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
ইউটিউব থেকে কন্টেন্ট তৈরি শুধুমাত্র একটি আয়ের মাধ্যম নয় এটি নিজের পরিচয়
গড়ে তোলার মতামত প্রকাশের এবং নিজের অভিজ্ঞতা গুলি সবার সামনে আনার একটি
চমৎকার ভেন্যু। যদি মেয়েরা একটু আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঘরে বসে এই যাত্রা শুরু
করে, তাহলে তারা ধাপে ধাপে একটি স্বাধীন ও সফল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
ইন্সটাগ্রাম ক্রাশিং সমস্যার সমাধান
অনলাইন ব্যবসা করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
বর্তমানে অনলাইন ব্যবসা ঘরে বসে মেয়েদের জন্য রোজগারের একটি চমৎকার উপায় হয়ে
উঠেছে। ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সহজ প্রবেশাধিকার ফলে এখন অনেকেই নিজেদের
ব্যবসা শুরু করেছেন ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম শপ বা ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
জামাকাপড়, কসমেটিক্স, হস্তশিল্প, বাড়ি তৈরির খাবার অথবা ডিজিটাল পণ্য- সবকিছু
এখন অনলাইনে বিক্রি করা সম্ভব। বিশেষত মেয়েরা তাদের সৃজনশীল কাজ যেমন হ্যান্ডমেড
জুয়েলারি, কেক বা আর্টওয়ার্ক সহজেই অনলাইন প্লাটফর্মে তুলে ধরতে পারছেন এবং আয়
করার সুযোগ পাচ্ছেন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এতে পৃথক দোকান ভাড়া নেওয়া বা
বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। মেয়েদের জন্য অনলাইন ব্যবসার কিছু
প্রয়োজনীয় আইডিয়া
- অনলাইন বুটিক এবং পোশাক বিক্রিঃ বাংলাদেশে পোশাক শিল্প সবসময় আকর্ষণীয় মেয়েরা নিজস্ব ডিজাইনকৃত সালোয়ার কামিজ সারী কিংবা থ্রি পিস অনলাইনে বিক্রি করে নিজেদের একটি অনন্য শুরু করতে পারেন।
- কসমেটিকস ও বিউটি পণ্যঃ মেকআপ এবং স্কিন কেয়ার পণ্যের চাহিদা সব সময় থাকে। তবে সব সময় সঠিক উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহ করে তা অনলাইনে বিক্রি করতে পারলে প্রচুর লাভের সুযোগ রয়েছে।
- হ্যান্ডমেড জুয়েলারি এবং ক্রাফটঃ সৃজনশীল মেয়েরা ঘরবন্দি থেকেই কানের দুল, গলার হা্র, শোপিস ইত্যাদি তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এটি তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশের পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের একটি মাধ্যম।
- ঘর তৈরি খাবারঃ বিভিন্ন ধরনের কেক পিঠা ফাস্টফুড বা হোমমেড প্রেসেন্ট ফুড তৈরি করে বিক্রি করার ক্ষেত্রেও রয়েছে যথেষ্ট সম্ভাবনা এসব পণ্য সহজেই অনলাইনে জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারে
-
ডিজিটাল পরিষেবাঃ যদি কোন নারী গ্রাফিক ডিজাইন কন্টেন্ট লেখালেখি বা সোশ্যাল
মিডিয়া ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী হন, তাহলে তিনি অনলাইনে ক্লায়েন্টদের জন্য
কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন।
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের ৫ টি সেরা উপায় এর মধ্যে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করা
কিছু প্রয়োজনীয় ধাপ অনুসরণ করা যেতে পারে। প্রথমে নিশ্চিত করুন আপনি কোন পণ্য
বিক্রি করতে যাচ্ছেন। ফেসবুক পেজ বা ইনস্টাগ্রাম শপ সেটআপ করুন শুরুতে সামাজিক
মাধ্যমগুলো হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম। আপনার পণ্যের কিছু আকর্ষণীয়
ছবি তুলুন- ছবি যদি মনমুগ্ধকর না হয়, তাহলে ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষণ করা কঠিন।
গ্রাহকের সাথে বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি করুন- সময়মত পণ্য বিতরণ করে এবং মানের
প্রতি লক্ষ রেখে সম্পর্ক উন্নত করুন। ফেসবুক বিজ্ঞাপন অথবা টিকটক রিলসের
মাধ্যমে সহজেই আপনার পণ্য প্রচার করতে পারেন মার্কেটিং এর মাধ্যম দিয়ে।
ব্লগিং করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের ৫ টি সেরা উপায় এর মধ্যে ব্লগিং একটি সহজ মাধ্যম।
ডিজিটাল যুগের ব্লগিং মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করার একটি সহজ এবং সম্ভাবনময়
উপায় হিসেবে দেখা দিয়েছে। যারা লেখালেখিতে আগ্রহী,তারা নিজেদের পছন্দের যেকোন
বিষয় যেমন রান্না,ফ্যাশন, ভ্রমণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা বা জীবনধারা নিয়ে ব্লগ লিখে
অনলাইন থেকে উপার্জন করতে পারেন। নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট প্রকাশের মাধ্যমে পাঠক
সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, এবং সেই ব্লগের মাধ্যমে গগুল অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং বা স্পন্সরড পোস্টের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ তৈরি হয়।সবচেয়ে
আকর্ষণীয় বিষয় হলো ব্লগিং শুরু করার জন্য অধিক বিনিয়োগ এর প্রয়োজন নেই; একটি
ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনই যথেষ্ট।
মেয়েদের জন্য ব্লগিংয়ের উপযুক্ত বিষয়বস্তু নির্বাচন করার সময় এমন
কিছু টপিক বেছে নেওয়া উচিত যা লেখকদের জন্য সহজেই লিখতে সহযোগিতা করবেঃ
- রান্না ও রেসিপি ব্লগ- নতুন খাবারের রেসিপি, পিষ্টি প্রস্তুতি বা পরস্পরাগত রান্নার কৌশল শেয়ার করা।
- ফ্যাশন ও বিউটি ব্লগ- পোশাকের ট্রেন্ড মেকাপের টিপস এবং স্কিন কেয়ার বিষয়ক পরামর্শ।
- ভ্রমণ ব্লগ- ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন গন্তব্যের টিপস এবং গাইডলাইন প্রদান করা।
- লাইফ স্টাইল ব্লগ- দৈনন্দিন জীবনযাপন, স্বাস্থ্যের যত্ন, ফিটনেস এবং মায়ের ও শিশুর যত্নের উপর নিবন্ধ লেখা।
- শিক্ষা ও ক্যারিয়ার ব্লগ- পড়াশোনার কৌশল, অনলাইন কোর্সের সুযোগ এবং ক্যারিয়ার উন্নয়নের তথ্য শেয়ার করা।
ব্লগিং প্লাটফর্ম নির্বাচনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রয়েছে এগুলো হচ্ছে
লগিন প্লাটফর্ম নির্বাচন ফ্রি অপশন যেমন ব্লগার ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম এবং পেইড অপশন
যেমন ওয়ার্ড ওআরজি। এটির জন্য আপনাকে নিজের ছোটমিন এবং হোস্টিং কিনতে হবে।
ডোমেইন নাম নির্বাচন করুন আপনার ব্লগের জন্য একটি সহজ ও স্মরণীয় নাম বেছে নিন
যেমন: coockingtips.com. ইত্যাদি। নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে মানসম্মত ও
তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে যেন পাঠকরা আকৃষ্ট হন। গুগলের
সঠিকভাবে র্যাঙ্ক করার জন্য এসইও (SEO) জ্ঞান অর্জন করতে হবে, কিওয়ার্ড,
টাইটেল, মেটাট্যাগ ইত্যাদি ব্যবহার করা জানতে হবে যা গুগলে আপনার ওয়েবসাইট
র্যাঙ্ক করাতে সাহায্য করবে। আপনার ব্লগের প্রচারণা করুন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম,
ইউটিউব এবং টিকটক প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে আপনার ব্লগে ভিজিটর নিয়ে
আসুন।
ব্লগ থেকে টাকা আয় করার কিছু পদ্ধতিঃ গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার ব্লগে
বিজ্ঞাপন স্থাপন করে আয় করা যায়। ন্যূনতম কমিশনের বিনিময়ে বিভিন্ন লিঙ্ক
শেয়ার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা বা ডলার অর্জন করা যায়।
স্পন্সর পোস্ট ব্রান্ডগুলো তাদের পণ্য প্রচারের জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করবে।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রির যেমন ই-বুক কোর্স বা টেমপ্লেট তৈরি করে ব্লগের এর
মাধ্যমে বিক্রি করা যেতে পারে। লেখালেখি কন্টেন্ট মার্কেটিং কিংবা সোশ্যাল
মিডিয়া পরিচালনার সেবা প্রদান করা হয় ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিসের মাধ্যমে।
আরো পড়ুনঃ
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সমূহ
উপসংহার
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সুযোগ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়ে উঠেছে অনলাইন
ব্যবসা ব্লগিং ফ্রিল্যান্সিং ইউটিউব কিংবা হ্যান্ডমেড পণ্য বিক্রির মত নানা উপায়
ব্যবহার করে যেকোনো মেয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে। সবচেয়ে ভালো বিষয়
হলো, এসব কাজ করার জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার প্রয়োজন নেই; আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে
ঘরে বসে আয় করা সম্ভব। প্রয়োজন কিছু ধৈর্য, পরিশ্রম এবং সঠিক পরিকল্পনা। তাই আজ
থেকেই নিজের দক্ষতা ও আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে আয় করার যাত্রা শুরু করুন। সফলতার
জন্য এই সুযোগগুলোকে সঠিকভাবে গ্রহণ করুন এবং সময়ের সঙ্গে নিজেদেরকে এগিয়ে
নিয়ে চলুন। মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের ৫ টি সেরা উপায় উপরোক্ত ব্লগে সহজভাবে
উপস্থাপন করা হলো। এই বিষয়ে আপনার কোন মতামত বা প্রশ্ন থাকলে দয়া করে মন্তব্য
বক্সে জানাবেন। আরো গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল বাংলা আর্টিকেল পাওয়ার জন্য
আমাদের সাথে থাকুন সুস্থ থাকুন এবং ভালো থাকুন ধন্যবাদ।
ইনফোনেস্টইনের শর্তাবলী মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট পর্যাবেক্ষন করা হয়।
comment url