Fiverr-এ নতুন গিগ র‍্যাঙ্ক করার লো কম্পিটিশন টিপস

Fiverr-এ নতুন গিগ র‍্যাঙ্ক করার লো কম্পিটিশন টিপস জানুন এবং সঠিক কিওয়ার্ড, টাইটেল ও ট্যাগ ব্যবহার করে দ্রুত অর্ডার পান। আজকের এই আর্টিকেলে আমি Fiverr-এ নতুন গিগ র‍্যাঙ্ক করার লো কম্পিটিশন টিপস নিয়ে বিস্তারিত শেয়ার করব, যা আমার নিজের কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আসা।
Fiverr-এ-নতুন-গিগ-র‍্যাঙ্ক-করার-লো-কম্পিটিশন-টিপস
চিন্তা করবেন না, যদি আপনি নতুন হন, তাহলে ধাপে ধাপে এগোলে আপনার গিগও দ্রুত র্যাঙ্ক করবে এবং অর্ডার আসতে শুরু করবে। এই টিপসগুলো শুধু থিওরি নয়, বরং প্র্যাকটিক্যাল, যা আমি নিজে অ্যাপ্লাই করে সাফল্য পেয়েছি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ Fiverr-এ নতুন গিগ র‍্যাঙ্ক করার লো কম্পিটিশন টিপস

ভূমিকা

Fiverr-এ নতুন গিগ র‍্যাঙ্ক করার লো কম্পিটিশন টিপস নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় যে এটা কোনো শর্টকাট নয়, বরং একটা সিস্টেম্যাটিক প্রসেস। আমার নিজের জার্নি শুরু হয়েছিল খুবই হতাশাজনকভাবে – প্রথম গিগ তৈরি করার পর সপ্তাহের পর সপ্তাহ কোনো ইমপ্রেশন আসত না। আমি তখন "logo design" বা "article writing" এর মতো জেনেরিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করেছিলাম, যেখানে লক্ষ লক্ষ গিগ কম্পিট করছে। পরে একটা সফল সেলারের অ্যাডভাইস নিয়ে লো কম্পিটিশন নিচে সুইচ করলাম, যেমন "minimalist logo for eco-friendly brands" বা "blog posts on sustainable living for beginners"। এতে করে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমার গিগ সার্চের প্রথম পেজে উঠে এল এবং প্রথম অর্ডার আসতে শুরু করল। এই অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি যে Fiverr-এর অ্যালগরিদম ক্লায়েন্টের সার্চ প্যাটার্নের উপর অনেকটা ডিপেন্ড করে, এবং লং-টেল কীওয়ার্ডগুলোতে ফোকাস করলে নতুন গিগের জন্য র্যাঙ্কিং অনেক ফাস্ট হয়। আজকের আর্টিকেলে আমি সেই সব ডিটেইলস শেয়ার করব, যাতে আপনি আমার মতো ভুল না করেন এবং দ্রুত সাফল্য পান। মনে রাখবেন, ধৈর্য এবং কনসিসটেন্সি এখানে কী।

কীওয়ার্ড রিসার্চের গুরুত্ব

কীওয়ার্ড রিসার্চ হলো Fiverr-এ নতুন গিগ র‍্যাঙ্ক করার লো কম্পিটিশন টিপস এর সবচেয়ে মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কারণ এটাই নির্ধারণ করে আপনার গিগ কতটা দ্রুত এবং কার্যকরভাবে ক্লায়েন্টদের সামনে উঠে আসবে। আমি যখন Fiverr-এ শুরু করি, তখন প্রথম কয়েক মাস একদমই অর্ডার পাইনি, কারণ আমি শুধু জেনেরিক কীওয়ার্ড যেমন "logo design" বা "content writing" ব্যবহার করতাম, যেখানে হাজার হাজার সেলার কম্পিট করছে। পরে বুঝলাম যে সঠিক কীওয়ার্ড রিসার্চ না করলে গিগ তৈরি করেও কোনো লাভ নেই-এটা যেন একটা দোকান খুলে রাস্তার ভুল জায়গায় বসা, যেখানে কাস্টমার আসেই না। আমার নিজের অভিজ্ঞতায়, একবার যখন আমি লো কম্পিটিশন কীওয়ার্ড খুঁজে বের করতে শিখলাম, তখন আমার গিগগুলোর ইমপ্রেশন এবং ক্লিকস হঠাৎ করে বেড়ে গেল, এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রথম অর্ডারগুলো আসতে শুরু করল। এই রিসার্চ ছাড়া আপনার গিগ Fiverr-এর বিশাল সাগরে হারিয়ে যাবে, কিন্তু সঠিকভাবে করলে এটা আপনাকে একটা শর্টকাট দেয় সাফল্যের দিকে।

প্রথমে শুরু করুন Fiverr-এর নিজের সার্চ বার থেকে। আপনার সার্ভিসের সাথে সম্পর্কিত একটা বেসিক কীওয়ার্ড টাইপ করুন, যেমন "logo" বা "article", এবং দেখুন অটো-কমপ্লিট সাজেশনগুলো কী আসছে। এই সাজেশনগুলো Fiverr-এর অ্যালগরিদম থেকে আসে, যা ক্লায়েন্টরা আসলে কী সার্চ করে সেটা দেখায়। তারপর প্রত্যেক সাজেশনকে ফুল সার্চ করুন এবং দেখুন কতগুলো গিগ রেজাল্ট আসছে – যদি ৫০০-২০০০ এর নিচে হয়, তাহলে সেটা লো কম্পিটিশন। আমি নিজে এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দিয়ে একটা লিস্ট বানিয়েছিলাম, এবং সেখান থেকে লং-টেল কীওয়ার্ড যেমন "hand-drawn illustration for fantasy book covers" বা "SEO optimized blog posts on health and wellness for small blogs" সিলেক্ট করেছিলাম। এই ধরনের কীওয়ার্ডে কম্পিটিশন কম থাকে কারণ বেশিরভাগ নতুন সেলার জেনেরিকগুলোতে আটকে থাকে, কিন্তু ক্লায়েন্টরা প্রায়ই খুব স্পেসিফিক জিনিস সার্চ করে। আমার একটা গিগে এভাবে কীওয়ার্ড চেঞ্জ করার পর ইমপ্রেশন ১০০ থেকে ১০০০+ এ উঠে গিয়েছিল মাত্র এক সপ্তাহে!
Fiverr-এ-নতুন-গিগ-র‍্যাঙ্ক-করার-লো-কম্পিটিশন-টিপস
আরও অ্যাডভান্সড হতে চাইলে ফ্রি টুলস ব্যবহার করুন। Fiverr-এর বাইরে Google Keyword Planner দিয়ে দেখুন সার্চ ভলিউম কেমন-যদি মাসে ১০০-১০০০ সার্চ থাকে এবং কম্পিটিশন লো, তাহলে পারফেক্ট। আমি শুরুতে এটা ব্যবহার করে অনেক লো কম্পিটিশন নিচ খুঁজে পেয়েছি যা Fiverr-এ কাজ করেছে। পরে Ahrefs বা SEMrush-এর ফ্রি ভার্সন ট্রাই করেছি, যেখানে কীওয়ার্ড ডিফিকাল্টি স্কোর দেখা যায়। কিন্তু মনে রাখবেন, Fiverr-এর কীওয়ার্ড অন্য প্ল্যাটফর্মের থেকে আলাদা, তাই প্রাইমারি রিসার্চ Fiverr-এর সার্চেই করুন। আমার অভিজ্ঞতায়, লং-টেল কীওয়ার্ড (৪-৮ শব্দের) সবচেয়ে ভালো কাজ করে, কারণ এগুলোতে কনভার্শন রেট হাই-ক্লায়েন্ট যখন স্পেসিফিক সার্চ করে, তখন তারা কিনতে বেশি ইন্টারেস্টেড থাকে। একবার আমি একটা ভুল কীওয়ার্ডে গিগ তৈরি করেছিলাম যেটা হাই কম্পিটিশন ছিল, মাসখানেক কোনো ভিউ আসেনি; পরে চেঞ্জ করে লো কম্পিটিশন একটায় সুইচ করতেই অর্ডার আসতে শুরু করল। এই রিসার্চে সময় লাগে, কিন্তু এটা ইনভেস্টমেন্ট-একবার ভালো কীওয়ার্ড পেলে গিগটা লং টার্মে র্যাঙ্ক করবে।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো কম্পিটিটর অ্যানালাইসিস। লো কম্পিটিশন কীওয়ার্ডে যে গিগগুলো টপে আছে, সেগুলো দেখুন-তাদের টাইটেল, ডেসক্রিপশন, প্রাইসিং কেমন। আমি এভাবে শিখেছি কীভাবে আমার গিগকে আরও ভালো করতে হয়। যদি আপনি এই স্টেপটি স্কিপ করেন, তাহলে আপনার গিগ অন্য সবার মতোই হয়ে যাবে, এমনকি লো কম্পিটিশন নিচেও। আমার পরামর্শ, প্রত্যেক নতুন গিগের আগে কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা রিসার্চ করুন, লিস্ট বানান ২০-৩০টা কীওয়ার্ডের, এবং সেরা ৫টা সিলেক্ট করুন। এটা করার পর আমার গিগগুলোর পারফরম্যান্স এতটা ভালো হয়েছে যে এখন আমি মাল্টিপল নিচে কাজ করি এবং স্টেডি ইনকাম পাই। সারাংশে, কীওয়ার্ড রিসার্চ ছাড়া Fiverr-এ সাফল্য পাওয়া প্রায় অসম্ভব, বিশেষ করে নতুনদের জন্য-এটা আপনার গিগের ফাউন্ডেশন, এবং সঠিকভাবে করলে আপনাকে অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে রাখবে।

গিগ টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন অপটিমাইজ করা

গিগ টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন অপটিমাইজ করা হলো Fiverr-এ নতুন গিগ র‍্যাঙ্ক করার লো কম্পিটিশন টিপস এর সবচেয়ে পাওয়ারফুল অংশ, কারণ এই দুটো জিনিসই ক্লায়েন্ট প্রথম দেখে এবং Fiverr-এর অ্যালগরিদম এর উপর সবচেয়ে বেশি ওজন দেয়। আমি যখন প্রথম প্রথম গিগ তৈরি করতাম, তখন টাইটেলে শুধু লিখতাম “I will design logo” বা “I will write articles”-ফলাফল? একদমই ক্লিক আসত না। পরে বুঝলাম যে টাইটেল আর ডেসক্রিপশন যদি সঠিকভাবে অপটিমাইজ না করা হয়, তাহলে লো কম্পিটিশন কীওয়ার্ড পেলেও গিগ র‍্যাঙ্ক করবে না। এখন আমার প্রতিটি গিগের টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন এতটা অপটিমাইজ করি যে, অনেক সময় শুধু টাইটেল চেঞ্জ করলেই ইমপ্রেশন ৩-৪ গুণ বেড়ে যায়। আমার একটা গিগ আছে যেটা শুধু এই অপটিমাইজেশনের কারণে গত বছর ৮০০+ অর্ডার পেয়েছে-এটা কোনো ম্যাজিক নয়, শুধুই স্মার্ট অপটিমাইজেশন।
Fiverr-এ-নতুন-গিগ-র‍্যাঙ্ক-করার-লো-কম্পিটিশন-টিপস
প্রথমে আসি গিগ টাইটেল নিয়ে। Fiverr আপনাকে ৬০-৮০ ক্যারেক্টারের মধ্যে টাইটেল দিতে দেয় – এই জায়গাটাকে আপনাকে সোনার মতো কাজে লাগাতে হবে। আমার নিয়ম হলোঃ
  • সবার আগে প্রাইমারি লো কম্পিটিশন কীওয়ার্ড রাখা (যেটা রিসার্চ করে বের করেছেন)
  • তারপর ক্লায়েন্টের বেনিফিট বা ইউনিকনেস যোগ করা
  • শেষে টাইমলাইন বা এক্সট্রা অফার (যদি থাকে)
উদাহরণঃ
  • খারাপঃ "I will design logo"
  • দারুণঃ "I will design minimalist luxury logo for your brand in 24hrs"
  • আরেকটাঃ "I will write 1000 word SEO blog post on health niche with images"
আমি নিজে এই ফরম্যাটে টাইটেল লিখি এবং দেখেছি ক্লিক রেট অনেক বেশি হয়, কারণ ক্লায়েন্ট এক নজরে বুঝতে পারে সে ঠিক কী পাবে। আমার একটা গিগের টাইটেল ছিল "I will create professional YouTube thumbnails"-কোনো অর্ডার আসেনি। পরে চেঞ্জ করে লিখলাম "I will design click-worthy YouTube thumbnails that get more views" -এক সপ্তাহে ১৫টা অর্ডার চলে এসেছে! টাইটেলে পাওয়ার ওয়ার্ড যেমন Professional, Premium, Fast Delivery, Unlimited Revisions, Click-worthy, Eye-catching – এগুলো ব্যবহার করলে ক্লায়েন্টের মনে আকর্ষণ তৈরি হয়।

এবার আসি ডেসক্রিপশন-এটা আপনার সেলস পিচ। Fiverr আপনাকে ১২০০ ক্যারেক্টার দেয়, আমি প্রায় পুরোটাই ব্যবহার করি। আমার ডেসক্রিপশনের স্ট্রাকচার এরকমঃ
  • ১ম প্যারা (২-৩ লাইন): ক্লায়েন্টের সমস্যা + আমি কীভাবে সলভ করব + কীওয়ার্ড ন্যাচারালি
  • ২য় প্যারাঃ কী কী পাবেন (বুলেট পয়েন্টে)
  • ৩য় প্যারাঃ আমার অভিজ্ঞতা + কেন আমাকে চয়েজ করবেন
  • ৪র্থ প্যারাঃ কীভাবে কাজ করি (স্টেপ বাই স্টেপ)
  • ৫ম প্যারাঃ কল টু অ্যাকশন-"Message me now'', ''Let’s discuss your project"
উদাহরণ (আমার একটা রিয়েল গিগ থেকে):

"Are you looking for a professional, eye-catching minimalist logo that represents your brand perfectly? You’re in the right place! I have 5+ years of experience designing logos for startups, e-commerce brands, and personal blogs. I will create a unique, modern, and minimalist logo that your customers will love and remember."

তারপর বুলেটেঃ
  • 3 unique logo concepts
  • High-resolution PNG, JPG, transparent & vector files
  • Unlimited revisions until you are 100% satisfied
  • 24-48 hours fast delivery
  • Full copyright ownership
আমি দেখেছি এই ধরনের ডেসক্রিপশন পড়লে ক্লায়েন্ট মেসেজ করতে দ্বিধা করে না। আরেকটা গোপন টিপসঃ ডেসক্রিপশনের প্রথম ১৫০-১৬০ ক্যারেক্টার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সার্চ রেজাল্টে এটাই দেখায়। তাই প্রথম লাইনেই আপনার মেইন কীওয়ার্ড + বেনিফিট রাখুন।

ট্যাগসের ব্যাপারেঃ Fiverr ৫টা ট্যাগ দেয়-এখানে আপনার রিসার্চ করা লো কম্পিটিশন কীওয়ার্ডগুলোই ব্যবহার করুন। আমি সবসময় ২টা লং-টেল আর ৩টা শর্ট টেল মিক্স করি।
উদাহরণঃ minimalist logo, luxury logo design, brand identity, professional logo designer, modern logo for business

গিগ ইমেজ ও ভিডিওঃ শুধু টেক্সট না, ভিজুয়ালও অপটিমাইজ করুন। আমি Canva দিয়ে প্রফেশনাল থাম্বনেইল বানাই যেখানে টেক্সটে কীওয়ার্ড থাকে এবং কালার স্কিম আকর্ষণীয়। গিগ ভিডিও অ্যাড করলে র‍্যাঙ্কিং আরও বুস্ট পায়-আমি ৩০-৪৫ সেকেন্ডের একটা সিম্পল ভিডিও বানাই যেখানে আমার কাজের স্যাম্পল আর ভয়েসওভার থাকে।

প্রাইসিং প্যাকেজঃ শুরুতে লো কম্পিটিশন নিচে বেসিক প্যাকেজ ৫-১০ ডলার রাখুন, কিন্তু স্ট্যান্ডার্ড আর প্রিমিয়ামে ভ্যালু বাড়ান। ক্লায়েন্ট দেখে যে বেসিকেও অনেক কিছু পাচ্ছে, তাই অর্ডার করে। আমি এভাবে শুরু করে পরে ধীরে ধীরে প্রাইস বাড়িয়েছি।

সারাংশে বলব, গিগ টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন অপটিমাইজ করতে পারলে লো কম্পিটিশন নিচেও আপনার গিগ টপে চলে আসবে। আমি এই সিস্টেমটা ফলো করে একের পর এক গিগ র‍্যাঙ্ক করিয়েছি। আপনিও এখন থেকে প্রতিটি গিগে এই নিয়ম ফলো করুন – দেখবেন ক্লায়েন্ট নিজেই আপনাকে খুঁজে নেবে!

প্রমোশন স্ট্র্যাটেজি

শুধু গিগ তৈরি করে বসে থাকলে হবে না, প্রমোশন করতে হবে-এটা Fiverr-এ নতুন গিগ র‍্যাঙ্ক করার লো কম্পিটিশন টিপস এর একটা ক্রুশিয়াল অংশ। আমি শুরুতে Fiverr-এর বাইরে প্রমোট করতামঃ LinkedIn-এ গ্রুপসে পোস্ট, Reddit-এ রিলেভ্যান্ট সাবরেডিটে শেয়ার (স্প্যাম না করে), এবং Facebook গ্রুপসে। আমার প্রথম কয়েকটা অর্ডার এসেছে Reddit থেকে! পরে YouTube-এ টিউটোরিয়াল ভিডিও বানিয়ে গিগ লিঙ্ক অ্যাড করতাম, যা অর্গানিক ট্র্যাফিক নিয়ে আসত। Fiverr-এর প্রমোটেড গিগস ফিচার ট্রাই করেছি লো কম্পিটিশন গিগে, খুব ভালো ROI পেয়েছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ক্লায়েন্টদের সাথে ফাস্ট রেসপন্স এবং এক্সট্রা মাইল যাওয়া-এতে ৫ স্টার রিভিউ আসে, যা অ্যালগরিদমকে বুস্ট দেয়। আমার একটা গিগ প্রমোশনের কারণে এক সপ্তাহে ১০টা অর্ডার পেয়েছিলাম। আপনি যদি লো কম্পিটিশন নিচে থাকেন, তাহলে ছোট প্রমোশনেও বড় ফল পাবেন।
Fiverr-এ-নতুন-গিগ-র‍্যাঙ্ক-করার-লো-কম্পিটিশন-টিপস

গিগ পারফরম্যান্স মনিটরিং

সবশেষে, Fiverr-এ নতুন গিগ র‍্যাঙ্ক করার লো কম্পিটিশন টিপস এর মধ্যে পারফরম্যান্স মনিটরিং খুবই ইম্পরট্যান্ট। আমি প্রতি সপ্তাহে Fiverr অ্যানালিটিক্স চেক করিঃ ইমপ্রেশন, ক্লিক রেট, কনভার্শন। যদি কোনো কীওয়ার্ড কাজ না করে, তাহলে টাইটেল বা ট্যাগ চেঞ্জ করি। আমার একটা গিগের ইমপ্রেশন কমে গিয়েছিল, চেঞ্জ করে আবার বুস্ট পেয়েছি। ডেলিভারি অন টাইম এবং হাই কোয়ালিটি ওয়ার্ক মেইনটেইন করা জরুরি, কারণ একটা নেগেটিভ রিভিউ সব নষ্ট করতে পারে। লো কম্পিটিশন নিচে থাকলে ছোট অ্যাডজাস্টমেন্ট দ্রুত ফল দেয়। এই মনিটরিংয়ের অভ্যাসের কারণে আমার গিগগুলো স্টেবল র্যাঙ্ক ধরে রেখেছে।
Fiverr-এ-নতুন-গিগ-র‍্যাঙ্ক-করার-লো-কম্পিটিশন-টিপস



উপসংহার

সবশেষে বলতে চাই, Fiverr-এ নতুন গিগ র‍্যাঙ্ক করার লো কম্পিটিশন টিপস অনুসরণ করলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং জার্নি অনেক সহজ এবং দ্রুত সাফল্যময় হয়ে উঠবে। আমি নিজে যখন শুরু করেছিলাম, তখন কোনো ধারণাই ছিল না যে লো কম্পিটিশন নিচ খুঁজে সেখানে ফোকাস করলে কতটা ফারাক পড়ে। প্রথম কয়েক মাস হতাশায় ভরা ছিল-গিগ তৈরি করতাম, কিন্তু কোনো ইমপ্রেশন আসত না, অর্ডার তো দূরের কথা। কিন্তু যখন থেকে এই টিপসগুলো-কীওয়ার্ড রিসার্চ, টাইটেল-ডেসক্রিপশন অপটিমাইজেশন, প্রমোশন এবং নিয়মিত মনিটরিং-ধারাবাহিকভাবে ফলো করতে শুরু করলাম, তখন সবকিছু বদলে গেল। আজ আমি লেভেল ২ সেলার, মাসে কয়েক হাজার ডলার ইনকাম করি, এবং সবচেয়ে বড় কথা, আমার গিগগুলো এখন নিজে থেকেই র‍্যাঙ্ক করে এবং অর্ডার নিয়ে আসে। এটা কোনো ওভারনাইট সাফল্য নয়, বরং ছোট ছোট স্মার্ট স্টেপের ফল। আপনিও যদি এই পথে হাঁটেন, তাহলে একই রকম ফল পাবেন-এটা আমার নিশ্চিত প্রতিশ্রুতি।

মনে রাখবেন, Fiverr-এ সাফল্যের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি হলো ধৈর্য এবং কনসিসটেন্সি। অনেক নতুন সেলার প্রথম সপ্তাহে অর্ডার না পেয়ে হাল ছেড়ে দেন, কিন্তু আমার অভিজ্ঞতায় বলব-প্রথম ১-২ মাস ধরে সঠিকভাবে কাজ করলে ফল আসবেই। লো কম্পিটিশন নিচে ফোকাস করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনাকে হাজার হাজার সেলারের সাথে লড়তে হয় না; মাত্র কয়েকশো গিগের মধ্যে আপনি সহজেই টপে উঠতে পারেন। এতে করে রিভিউ জমা হয় দ্রুত, রেটিং বাড়ে, এবং Fiverr-এর অ্যালগরিদম আপনার গিগকে আরও বেশি প্রমোট করে। আমি দেখেছি, একবার প্রথম ৫-১০টা পজিটিভ রিভিউ চলে আসলে গিগটা যেন নিজে থেকে চলতে শুরু করে-অর্ডারের পর অর্ডার আসতে থাকে। তাই হতাশ হবেন না, বরং প্রতিদিন একটু একটু করে কাজ করুন।

আরেকটা কথা, Fiverr-এর অ্যালগরিদম প্রতিনিয়ত চেঞ্জ হয়, তাই যা আজ কাজ করছে কালও সেটা ফলো করুন এবং নতুন ট্রেন্ড দেখুন। কমিউনিটি ফোরাম, YouTube চ্যানেল বা সফল সেলারদের গিগ অবজার্ভ করুন-এতে নতুন আইডিয়া পাবেন। আমি নিজেও এখনো প্রতি মাসে আমার পুরোনো গিগগুলো রিভিউ করি, ছোটখাটো চেঞ্জ করি, এবং নতুন লো কম্পিটিশন নিচ খুঁজে নতুন গিগ তৈরি করি। ফ্রিল্যান্সিং একটা লং-টার্ম গেম, এবং যারা ধৈর্য ধরে খেলেন তারাই জিতেন। আপনার যদি যেকোনো স্কিল থাকে-গ্রাফিক্স, রাইটিং, প্রোগ্রামিং, ভিডিও এডিটিং বা যেকোনো কিছু-তাহলে এই টিপসগুলো অ্যাপ্লাই করে শুরু করুন। আমি নিশ্চিত, কয়েক মাসের মধ্যেই আপনি আমার মতোই স্টেডি ইনকামের রাস্তায় চলে আসবেন।

অবশেষে, আপনার স্বপ্নকে ছোট মনে করবেন না। Fiverr শুধু একটা প্ল্যাটফর্ম নয়, এটা একটা সুযোগ-ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ইনকাম করার সুযোগ। আমি শুরু করেছিলাম একদম জিরো থেকে, আজ আমার ক্লায়েন্ট আছে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া থেকে। আপনিও পারবেন। শুধু আজ থেকেই শুরু করুন, এই আর্টিকেলের টিপসগুলো একটা একটা করে অ্যাপ্লাই করুন, এবং ফলাফল নিজের চোখে দেখুন। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও হেল্প লাগে, কমেন্ট করুন-আমি সাহায্য করতে প্রস্তুত। শুভকামনা রইল আপনার Fiverr জার্নির জন্য! সাফল্য আপনারই অপেক্ষায় আছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইনফোনেস্টইনের শর্তাবলী মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট পর্যাবেক্ষন করা হয়।

comment url

Author Bio

Author
Akther Hossain

একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও ইনফোনেস্টইন লিমিটেড এর সিইও। SEO, ব্লগিং, অনলাইন ইনকাম ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। তার লক্ষ্য – পাঠকদের ডিজিটাল ক্যারিয়ারে সফল হতে সহায়তা করা।