২০২৬ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার

প্রিয় পাঠকবৃন্দ, রমজান মাসটা আমাদের জীবনে যেন একটা নতুন প্রেরণা নিয়ে আসে। এই মাসে রোজা রাখা, ইবাদত করা, দান-খয়রাত করা-সব মিলিয়ে একটা আধ্যাত্মিক যাত্রা। আমি নিজে ঢাকায় থাকি, আর প্রত্যেক বছর রমজান এলে শহরের পরিবেশটা পাল্টে যায়। যদি আপনি ঢাকা বা তার চারপাশের এলাকায় যেমন গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার বা টঙ্গীতে থাকেন, তাহলে ২০২৬ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার সময়সূচি নিয়ে নিশ্চয়ই চিন্তা করছেন।

রমজান-মাসের-ক্যালেন্ডার

তাই এই আর্টিকেলে আমি ২০২৬ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার সময়সূচি কে কেন্দ্র করে সব তথ্য সাজিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি লেখাটাকে আরও বিস্তৃত করতে, যাতে শুধু সময়সূচি নয়, রমজানের অন্যান্য দিকগুলোও কভার হয়। চলুন, প্রথমে সূচীপত্র দেখে নিই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ২০২৬ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার । ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় সেহরি-ইফতারের সময়সূচি

রমজান মাসের গুরুত্ব এবং ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয়

রমজান শুধু রোজা রাখার মাস নয়, এটা আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য এবং সহানুভূতির একটা সুযোগ। কুরআন শরীফ এই মাসে নাজিল হয়েছে, আর লায়লাতুল কদরের মতো বিশেষ রাত্রি তো আছেই, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। ইতিহাসে দেখা যায়, রমজান মাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে, যেমন বদরের যুদ্ধ। বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ, রমজান একটা জাতীয় উৎসবের মতো। ঢাকায় তো বিশেষ করে, পুরান ঢাকার ইফতার বাজারগুলোতে হাজারো মানুষের ভিড় লেগে যায়। আমি নিজে গত বছর পুরান ঢাকায় গিয়েছিলাম, আর সেই অভিজ্ঞতা অবিস্মরণীয়-চিকেন রোস্ট, বিরিয়ানি, ফিরনি সব মিলিয়ে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ।

রমজান-মাসের-ক্যালেন্ডার

তাই, ২০২৬ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার সময়সূচি দেখে নিয়ে আপনার দৈনন্দিন রুটিন সাজান। উদাহরণস্বরূপ, সেহরির সময়টা একটু আগে থেকে জেনে রাখলে ঘুম থেকে উঠতে সুবিধা হয়, আর ইফতারের সময় জানলে অফিস থেকে ফেরার প্ল্যান করা যায়। এবার চলুন মূল ক্যালেন্ডারে যাই।

২০২৬ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার সময়সূচি

২০২৬ সালে রমজান মাস অনুমান করা হয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে, অর্থাৎ ৩০ দিন। এটা চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল, তাই স্থানীয় মুন সাইটিং কমিটির ঘোষণা দেখে নেবেন। ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকা যেমন গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ বা সাভারের জন্য সময়সূচি প্রায় একই, কারণ সময়জোন এক (+৬)। গড়ে সেহরির সময় সকাল ৫ঃ১৪ থেকে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে কমতে থাকবে, আর ইফতারের সময় বিকেল ৫ঃ৫৫ থেকে বাড়তে থাকবে। এই ২০২৬ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার সময়সূচি আপনাকে সাহায্য করবে রোজার প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত।

আমি এই তথ্যগুলো নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে সংগ্রহ করেছি, যেমন আল-আধানের মতো প্ল্যাটফর্ম, যা অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ক্যালকুলেশনের ভিত্তিতে সময় দেয়। চাঁদ দেখার কারণে যদি তারিখ পাল্টায়, তাহলে অ্যাপ বা নিউজ থেকে আপডেট নিন।

বিস্তারিত সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি (টেবিল সহ)

নিচে আমি একটা টেবিলে সম্পূর্ণ ক্যালেন্ডার দিয়েছি। এখানে গ্রেগরিয়ান তারিখ, রমজানের দিন, সেহরি শেষের সময় (ফজরের সময়) এবং ইফতারের সময় (মাগরিবের সময়) উল্লেখ করা হয়েছে। সময়গুলো +৬ টাইমজোনে, এবং আশেপাশের এলাকায় সামান্য পার্থক্য হতে পারে, কিন্তু মোটামুটি একই। সেহরি খাওয়ার সময় ফজরের ১০-১৫ মিনিট আগে শেষ করাই ভালো।

রহমতের ১০ দিন

রমজান তারিখ বার সেহরির শেষ সময় ইফতারের সময়
০১ ১৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার ০৫:১৪ AM ৫:৫৫ PM
০২ ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ০৫:১৩ AM ৫:৫৬ PM
০৩ ২০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ০৫:১২ AM ৫:৫৭ PM
০৪ ২১ ফেব্রুয়ারি শনিবার ০৫:১২ AM ৫:৫৭ PM
০৫ ২২ ফেব্রুয়ারি রবিবার ০৫:১১ AM ৫:৫৮ PM
০৬ ২৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার ০৫:১০ AM ৫:৫৮ PM
০৭ ২৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ০৫:০৯ AM ৫:৫৯ PM
০৮ ২৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার ০৫:০৯ AM ৫:৫৯ PM
০৯ ২৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ০৫:০৮ AM ৬:০০ PM
১০ ২৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ০৫:০৭ AM ৬:০০ PM

মাগফিরাতের ১০ দিন

রমজান তারিখ বার সেহরির শেষ সময় ইফতারের সময়
০১ ২৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার ০৫:০৬ AM ৬:০১ PM
০২ ১ মার্চ রবিবার ০৫:০৫ AM ৬:০২ PM
০৩ ২ মার্চ সোমবার ০৫:০৫ AM ৬:০২ PM
০৪ ৩ মার্চ মঙ্গলবার ০৫:০৪ AM ৬:০২ PM
০৫ ৪ মার্চ বুধবার ০৫:০৩ AM ৬:০৩ PM
০৬ ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার ০৫:০২ AM ৬:০৩ PM
০৭ ৬ মার্চ শুক্রবার ০৫:০১ AM ৬:০৩ PM
০৮ ৭ মার্চ শনিবার ০৫:০০ AM ৬:০৪ PM
০৯ ৮ মার্চ রবিবার ০৪:৫৯ AM ৬:০৪ PM
১০ ৯ মার্চ সোমবার ০৪:৫৮ AM ৬:০৫ PM

নাযাতের ১০ দিন


রমজান তারিখ বার সেহরির শেষ সময় ইফতারের সময়
০১ ১০ মার্চ মঙ্গলবার ০৪:৫৭ AM ৬:০৫ PM
০২ ১১ মার্চ বুধবার ০৪:৫৭ AM ৬:০৬ PM
০৩ ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার ০৪:৫৬ AM ৬:০৬ PM
০৪ ১৩ মার্চ শুক্রবার ০৪:৫৫ AM ৬:০৭ PM
০৫ ১৪ মার্চ শনিবার ০৪:৫৪ AM ৬:০৭ PM
০৬ ১৫ মার্চ রবিবার ০৪:৫৩ AM ৬:০৭ PM
০৭ ১৬ মার্চ সোমবার ০৪:৫২ AM ৬:০৮ PM
০৮ ১৭ মার্চ মঙ্গলবার ০৪:৫১ AM ৬:০৮ PM
০৯ ১৮ মার্চ বুধবার ০৪:৫০ AM ৬:০৯ PM
১০ ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার ০৪:৪৯ AM ৬:০ PM

এই টেবিলটা ২০২৬ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার সময়সূচি এর মূল অংশ। আমি এটা তৈরি করেছি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে তথ্য নিয়ে, যাতে আপনারা সহজে প্রিন্ট করে রাখতে পারেন বা মোবাইলে সেভ করতে পারেন। লায়লাতুল কদর অনুমান করা হয় ১৬ মার্চের রাতে (২৭ রমজান), যা বিশেষ ইবাদতের রাত। যদি আপনি অ্যাপ ব্যবহার করেন, যেমন মুসলিম প্রো বা আল-কুরআন অ্যাপ, তাহলে সেখানে অ্যালার্ম সেট করে রাখতে পারেন।

ঢাকায় রমজান উদযাপনের ঐতিহ্য এবং স্থানীয় সংস্কৃতি

ঢাকায় রমজানের একটা আলাদা মজা আছে। পুরান ঢাকার চকবাজার বা নাজিরাবাজারে ইফতারের আইটেমগুলো দেখলে মুখে জল চলে আসে-বড়া, পিয়াজু, ছোলা, হালিম, জিলাপি। আমি একবার একটা গল্প শুনেছিলাম, আমার এক বন্ধুর দাদা বলতেন যে, রমজানে ঢাকার রাস্তাগুলো যেন খাবারের স্বর্গ হয়ে যায়। আশেপাশের এলাকায় যেমন গাজীপুরে লোকাল মার্কেটে স্থানীয় খাবার মিলে, যেমন চাপা পিঠা বা ভাপা পিঠা। রমজানে মসজিদগুলোতে তারাবিহ নামাজের পর মানুষেরা একসাথে বসে গল্প করে, যা সমাজের বন্ধন মজবুত করে। এছাড়া, অনেকে জাকাত দিয়ে গরিবদের সাহায্য করে, যা রমজানের স্পিরিট। যদি আপনি ২০২৬ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার সময়সূচি অনুসরণ করে এই ঐতিহ্যগুলোতে অংশ নেন, তাহলে রমজানটা আরও অর্থবহ হয়ে উঠবে।

রমজানে স্বাস্থ্য রক্ষার টিপস এবং পুষ্টিকর খাবারের পরামর্শ

মজানে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা খুব জরুরি, বিশেষ করে ঢাকার গরম এবং দূষণে। সেহরিতে পুষ্টিকর খাবার খান, যেমন ওটস, ডিম, ফল (কলা, আপেল), দই আর বাদাম। এগুলো ধীরে ধীরে এনার্জি দেয়। ইফতারে খেজুর দিয়ে শুরু করুন, তারপর হালকা স্যুপ বা সালাদ, তারপর মেইন খাবার যেমন ভাত, মাছ বা মুরগি। আমি নিজে চেষ্টা করি পানি অন্তত ৮-১০ গ্লাস খেতে, কিন্তু চা-কফি কম। ডাক্তাররা বলেন, ডিহাইড্রেশন এড়াতে লেবু পানি বা ফলের জুস খান। যদি আপনার কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, যেমন ডায়াবেটিস, তাহলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে রোজা রাখুন। আর ব্যায়াম? হালকা হাঁটা বা যোগা করুন ইফতারের পর। এই টিপসগুলো ২০২৬ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার সময়সূচি এর সাথে মিলিয়ে নিলে, আপনি পুরো মাসটা সুস্থ থাকবেন।

ইবাদত এবং আধ্যাত্মিকতার উপর ফোকাসঃ লায়লাতুল কদর এবং তারাবিহ

রমজান মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ইবাদত এবং আধ্যাত্মিকতা। এই মাসে আমরা শুধু শারীরিকভাবে রোজা রাখি না, বরং মনকে শুদ্ধ করে আল্লাহর কাছে আরও কাছে যাওয়ার চেষ্টা করি। ইবাদতের মাধ্যমে আমরা ধৈর্য, কৃতজ্ঞতা এবং সহানুভূতি শিখি, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সুন্দর করে তোলে। আমি নিজে রমজানে ইবাদতকে প্রাধান্য দেই, কারণ এটা আমাকে মানসিক শান্তি দেয়। চলুন, এই সেকশনে আমরা লায়লাতুল কদর এবং তারাবিহ নামাজের উপর বিস্তারিত আলোচনা করি, যা রমজানের আধ্যাত্মিকতার মূল স্তম্ভ।

প্রথমে বলি তারাবিহ নামাজের কথা। তারাবিহ হলো রমজানের বিশেষ সুন্নত নামাজ, যা ইশার নামাজের পর পড়া হয়। এটা সাধারণত ৮ বা ২০ রাকাত হয়, এবং মসজিদে জামাতে পড়লে তার ফজিলত অনেক বেশি। ঢাকার মতো শহরে তারাবিহের দৃশ্যটা অসাধারণ-মসজিদগুলোতে হাজারো মানুষের ভিড় লেগে যায়। উদাহরণস্বরূপ, বায়তুল মোকাররম মসজিদে তারাবিহ পড়তে গেলে আপনি একটা সম্মিলিত ইবাদতের অনুভূতি পাবেন, যেখানে সবাই একসাথে কুরআনের তিলাওয়াত শোনে। গুলশান বা উত্তরার মসজিদগুলোতেও একই দৃশ্য। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, তারাবিহ পড়ার পর মনটা যেন হালকা হয়ে যায়, আর রাতের ঘুমটা হয় খুব গভীর। যদি আপনি নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে শুরু করুন ৮ রাকাত দিয়ে, ধীরে ধীরে বাড়ান। তারাবিহ না পড়লে রমজান অসম্পূর্ণ মনে হয়, কারণ এটা কুরআনের সাথে সরাসরি যুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) তারাবিহকে উৎসাহিত করেছেন, এবং এটা রমজানের রাতগুলোকে আলোকিত করে।

এবার আসি লায়লাতুল কদরের কথায়, যা রমজানের সবচেয়ে পবিত্র রাত। কুরআনের সুরা কদরে বলা হয়েছে যে, এই রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। লায়লাতুল কদর সাধারণত রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতগুলোতে হয়-যেমন ২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯ রমজান। ২০২৬ সালে এটা অনুমান করা হয়েছে ১০ মার্চ থেকে ১৮ মার্চের মধ্যে পড়বে, কিন্তু সঠিকটা আল্লাহই জানেন। এই রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে নামেন, আর দোয়া কবুল হয় অনেক বেশি। আমি সবসময় চেষ্টা করি এই রাতগুলোতে জাগরণ করে ইবাদত করতে-কুরআন পড়া, নফল নামাজ, দোয়া, তাসবিহ। উদাহরণস্বরূপ, লায়লাতুল কদরে "আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্না" এই দোয়াটা পড়া সুন্নত। ঢাকায় অনেক মসজিদে এই রাতগুলোতে বিশেষ কিয়ামুল লাইলের আয়োজন হয়, যেমন বায়তুল মোকাররমে হাজারো মানুষ একসাথে ইবাদত করে।

রমজান-মাসের-ক্যালেন্ডার

আমার এক বন্ধু বলেছিল, সে একবার লায়লাতুল কদরে মসজিদে রাত কাটিয়েছে, আর সেই অনুভূতি তার জীবন পাল্টে দিয়েছে। এই রাতে পাপ মোচনের সুযোগ থাকে, তাই ক্ষমা চাওয়া, তওবা করা এবং ভালো কাজের নিয়ত করা জরুরি।

ইবাদতের আরও কিছু দিক আছে রমজানে, যেমন কুরআন তিলাওয়াত। রমজানে কুরআন পড়ার ফজিলত অনেক বেশি, কারণ এই মাসেই কুরআন নাজিল হয়েছে। আমি চেষ্টা করি প্রত্যেক দিন কমপক্ষে এক পারা পড়তে, আর পরিবারের সাথে একসাথে আলোচনা করতে। এছাড়া, জিকির, তাসবিহ এবং সাদাকাহ-এগুলো আধ্যাত্মিকতা বাড়ায়। রমজানে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, দান করা এবং অন্যদের সাহায্য করা তো আছেই, যা আমাদেরকে আরও কাছে নিয়ে যায় স্রষ্টার। যদি আপনি ঢাকায় থাকেন, তাহলে স্থানীয় মসজিদে যান, অথবা বাড়িতে পরিবারের সাথে ইবাদত করুন। এই মাসে আধ্যাত্মিকতা বাড়াতে মোবাইল অ্যাপ যেমন কুরআন অ্যাপ বা দোয়ার অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।

সারাংশে বলব, রমজানের ইবাদত ছাড়া এই মাস অর্থহীন। তারাবিহ এবং লায়লাতুল কদরকে কেন্দ্র করে আপনার আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু করুন, আর দেখবেন জীবনটা কতটা পরিবর্তন হয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই মাসের বরকত লাভ করার তৌফিক দিন।

রমজানে পরিবার এবং সমাজের ভূমিকা

রমজান মাস পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়, যা সারা বছরের ব্যস্ততায় কমে যায়। সেহরি এবং ইফতারের সময় একসাথে খাবার খাওয়া পরিবারের বন্ধনকে মজবুত করে। এই মাসে পরিবারের সদস্যরা একসাথে নামাজ পড়ে এবং কুরআন আলোচনা করে, যা আধ্যাত্মিকতা বাড়ায়। বাচ্চাদের রোজার গুরুত্ব শেখানোর মাধ্যমে পরিবার ভবিষ্যত প্রজন্মকে প্রস্তুত করে। সারাংশে, রমজান পরিবারকে একত্রিত করে ভালোবাসা এবং সমর্থনের পরিবেশ তৈরি করে।

সমাজে রমজানের ভূমিকা হলো সহানুভূতি এবং সাহায্যের মাধ্যমে সম্পর্ক মজবুত করা। অনেকে ইফতার পার্টি আয়োজন করে প্রতিবেশীদের সাথে মিলিত হয়, যা সামাজিক বন্ধন বাড়ায়। গরিবদের জন্য খাবার বিতরণ এবং জাকাত দেওয়া সমাজের দুর্বল অংশকে সাহায্য করে। মসজিদ এবং এনজিওগুলো রমজানে বিভিন্ন কর্মসূচি চালায়, যেমন ফ্রি ইফতার বিতরণ। এই মাসে সমাজের সদস্যরা একসাথে ইবাদত করে সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলে।

পরিবার এবং সমাজের সমন্বয় রমজানকে আরও অর্থবহ করে তোলে। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজে ছড়িয়ে পড়া দান-খয়রাত সমাজকে সুস্থ রাখে। ঢাকার মতো শহরে পরিবার এবং সমাজ মিলে রমজানের উৎসবমুখরতা তৈরি করে। এই সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যক্তি নিজেকে উন্নত করে এবং সমাজকে সাহায্য করে। সারাংশে, রমজান পরিবার এবং সমাজকে একীভূত করে আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক উন্নয়ন ঘটায়।

উপসংহার

রমজান মাস আমাদের জীবনে একটা বিশেষ পরিবর্তন নিয়ে আসে, যা আমাদেরকে আরও ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে। এই মাসে রোজা রাখা, ইবাদত করা এবং দান-খয়রাতের মাধ্যমে আমরা আত্মশুদ্ধি লাভ করি, যা সারা বছরের জন্য প্রেরণা যোগায়। আশা করি এই বিস্তারিত লেখা, যেখানে রমজানের গুরুত্ব, সময়সূচি, স্বাস্থ্য টিপস, ঐতিহ্য এবং ইবাদতের বিষয়গুলো কভার করা হয়েছে, আপনাদের জন্য সত্যিই উপকারী হবে। আমি নিজে এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করে লিখেছি যাতে আপনারা সহজে রমজানের প্রস্তুতি নিতে পারেন। যদি চাঁদ দেখার কারণে তারিখ বা সময়সূচিতে কোনো পরিবর্তন হয়, তাহলে অবশ্যই স্থানীয় মসজিদ, মুন সাইটিং কমিটি বা নির্ভরযোগ্য নিউজ সোর্স থেকে আপডেট নিয়ে নেবেন, কারণ সঠিক সময় জানা রোজার জন্য অপরিহার্য।

২০২৬ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার সময়সূচি নিয়ে এই তথ্যগুলো আপনাকে সাহায্য করুক রমজানকে স্মরণীয় এবং আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ করে তুলতে। এই মাসে আমরা শুধু রোজা রাখি না, বরং পরিবার এবং সমাজের সাথে মিলে একটা ঐক্যবদ্ধ পরিবেশ তৈরি করি। ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে এই সময়সূচি অনুসরণ করে আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে পারবেন। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই মাসে ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো জীবনকে অনেক সুন্দর করে তোলে। রমজান মোবারক সবাইকে! আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই মাসের বরকত লাভ করার তৌফিক দিন।

যদি এই লেখা পড়ে আপনার মনে কোনো প্রশ্ন জাগে, বা আরও বিস্তারিত তথ্য চান, তাহলে নির্দ্বিধায় কমেন্ট সেকশনে জানান। আমি চেষ্টা করব উত্তর দিতে। এছাড়া, এই আর্টিকেলটা শেয়ার করে অন্যদেরও সাহায্য করুন, যাতে সবাই মিলে রমজানকে সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারি। ধন্যবাদ পড়ার জন্য, এবং আল্লাহ হাফেজ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইনফোনেস্টইনের শর্তাবলী মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট পর্যাবেক্ষন করা হয়।

comment url

Author Bio

Author
Akther Hossain

একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও ইনফোনেস্টইন লিমিটেড এর সিইও। SEO, ব্লগিং, অনলাইন ইনকাম ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। তার লক্ষ্য – পাঠকদের ডিজিটাল ক্যারিয়ারে সফল হতে সহায়তা করা।