প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা
ভুল প্রসেসর কিনে কি টাকা নষ্ট করছ? এখনই সিদ্ধান্ত বদলাও! জানুন প্রসেসর বাছাই
করার সহজ গাইড বাংলা-নতুন ও অভিজ্ঞ সবার জন্য। তোমার কাজ ও বাজেট অনুযায়ী কোন CPU
সেরা, কীভাবে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স পাবে-সহজ ভাষায় সব বুঝে নাও।
আজ আমি তোমার সাথে কথা বলার মতো করে এই প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা শেয়ার
করব। এটা ধাপে ধাপে বুঝিয়ে বলবে কীভাবে তোমার চাহিদা অনুযায়ী সেরা প্রসেসরটা
পাবে। আমরা বেঞ্চমার্ক নিয়ে বিস্তারিত কথা বলব, যাতে তুমি রিয়েল ডেটা দেখে
সিদ্ধান্ত নিতে পারো। চলো, শুরু করি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা
প্রসেসর কী এবং কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?
দেখো, প্রসেসরকে তোমার কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলা যায়। এটা সবকিছু ক্যালকুলেট
করে, প্রোগ্রাম চালায়, ডেটা প্রসেস করে এবং তোমার কাজগুলোকে দ্রুত করে তোলে। যদি
তোমার প্রসেসর দুর্বল হয়, তাহলে গেম খেলতে ল্যাগ হবে, ভিডিও এডিট করতে ঘণ্টার পর
ঘণ্টা লাগবে, এমনকি সিম্পল ওয়েব ব্রাউজিংও ধীরে ধীরে চলবে। আমি তোমাকে বলছি, এই
প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা তোমাকে সাহায্য করবে তোমার কাজের ধরন অনুযায়ী
সঠিক প্রসেসর বেছে নিতে। উদাহরণ দেই, যদি তুমি শুধু ইমেইল চেক করো বা ডকুমেন্ট
এডিট করো, তাহলে একটা বেসিক প্রসেসর যথেষ্ট। কিন্তু যদি তুমি গ্রাফিক্স ডিজাইন,
ভিডিও রেন্ডারিং বা হাই-এন্ড গেমিং করো, তাহলে একটা শক্তিশালী প্রসেসর ছাড়া চলবে
না।
আমি মনে করি, প্রসেসরের গুরুত্ব বোঝার জন্য কিছু রিয়েল লাইফ উদাহরণ দেখা দরকার।
ধরো, তুমি একটা ভিডিও এডিট করছ। একটা ভালো প্রসেসর তোমার সময় বাঁচাবে, কারণ এটা
দ্রুত রেন্ডার করবে। ২০২৫-এর বেঞ্চমার্ক দেখলে বোঝা যায়, যেমন ইনটেলের কোর
আই৯-১৪৯০০কে সিনেবেঞ্চ মাল্টি-কোরে ২০০০+ স্কোর পায়, যা এএমডি রাইজেন ৯
৯৯৫০এক্স-এর সাথে কম্পিট করে। এটা তোমার কাজকে কতটা স্মুথ করে তুলবে, তুমি কল্পনা
করো। তোমার চাহিদা না বুঝে প্রসেসর কিনলে পরে পস্তাবে। তাই এই গাইড তোমাকে
সাহায্য করবে।
প্রসেসর বাছাইয়ের মূল ফ্যাক্টরগুলো
এখন আমরা গভীরভাবে কথা বলি প্রসেসর বাছাই করার সময় কোন কোন জিনিসগুলো দেখতে হবে।
আমি জানি, তুমি যদি একটা নতুন পিসি বিল্ড করতে চাও বা আপগ্রেড করছ, তাহলে এই
ফ্যাক্টরগুলো তোমার সিদ্ধান্তকে সহজ করে তুলবে। এই প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড
বাংলা তোমাকে ধাপে ধাপে বুঝিয়ে বলবে, যাতে তুমি কোনো ভুল না করো। আমরা শুরু করব
মূল ফ্যাক্টরগুলো দিয়ে, এবং প্রত্যেকটার জন্য রিয়েল বেঞ্চমার্ক এবং উদাহরণ দেব,
যা ২০২৫-এর লেটেস্ট ডেটা থেকে নেয়া। এতে তুমি বুঝতে পারবে কেন এগুলো
গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম ফ্যাক্টর হলো কোর কাউন্ট এবং থ্রেডস। প্রসেসরের কোর মানে তার কতগুলো
স্বাধীন প্রসেসিং ইউনিট আছে, যা একসাথে কাজ করতে পারে। থ্রেডস হলো কোরের ক্ষমতা
বাড়ানোর উপায়, যাতে মাল্টিটাস্কিং আরও ভালো হয়। যেমন, যদি তুমি ভিডিও এডিটিং
বা ৩ডি রেন্ডারিং করো, তাহলে বেশি কোর দরকার। ২০২৫-এর বেঞ্চমার্কে, এএমডি রাইজেন
৯ ৯৯৫০এক্স-এর ১৬ কোর এবং ৩২ থ্রেড সিনেবেঞ্চ আর২৩-এ মাল্টি-থ্রেড স্কোর প্রায়
৪০,০০০ পায়, যা ইনটেল কোর আলট্রা ৯ ২৮৫কে-এর ২৪ কোর/৩২ থ্রেডের স্কোর ৩৮,০০০-এর
কাছাকাছি। এটা মানে, এএমডি মাল্টি-থ্রেড কাজে একটু এগিয়ে। কিন্তু যদি তুমি শুধু
গেমিং করো, তাহলে ৮ কোর/১৬ থ্রেড যথেষ্ট, কারণ বেশি কোর সবসময় গেমে সাহায্য করে
না। আমি তোমাকে বলছি, তোমার কাজের ধরন দেখে কোর সিলেক্ট করো-অফিস ওয়ার্কের জন্য
৪-৬ কোর চলবে, কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জন্য ১২+ কোর দেখো।
দ্বিতীয়ত, ক্লক স্পিড। এটা প্রসেসরের স্পিড মাপে, গিগাহার্জ (GHz) এ। বেস ক্লক
হলো নরমাল স্পিড, আর বুস্ট ক্লক হলো যখন প্রসেসর হাই লোডে যায় তখনকার স্পিড।
উচ্চ ক্লক স্পিড সিঙ্গল-থ্রেড কাজে দারুণ, যেমন গেমিং বা ওয়েব ব্রাউজিং। এই
প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা তোমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, ২০২৫-এ ইনটেল
কোর আই৯-১৪৯০০কে-এর বুস্ট ক্লক ৬.০ GHz পর্যন্ত যায়, যা গেমিংয়ে এফপিএস ১০-১৫%
বাড়াতে পারে, যেমন সাইবারপাঙ্ক ২০৭৭-এ ১৪৪০পি রেজোলিউশনে ১২০+ এফপিএস। এএমডি
রাইজেন ৭ ৯৮০০এক্স৩ডি-এর ক্লক ৫.২ GHz, কিন্তু তার ৩ডি ভি-ক্যাশের কারণে গেমিংয়ে
স্কোর ১০০% (টমস হার্ডওয়্যার হাইরার্কি)। তাই, ক্লক স্পিড দেখার সময় বেঞ্চমার্ক
চেক করো, কারণ শুধু নাম্বার নয়, আর্কিটেকচারও গুরুত্বপূর্ণ। যদি তুমি ল্যাপটপ
ইউজার হও, তাহলে লো ক্লক স্পিডের প্রসেসর দেখো যাতে ব্যাটারি লং লাস্ট করে।
তৃতীয় ফ্যাক্টর হলো ক্যাশ মেমরি। এটা প্রসেসরের ভিতরের ছোট মেমরি, যা দ্রুত ডেটা
অ্যাক্সেস করে। লেভেল ১ (L1), L2, L3 ক্যাশ আছে, আর বেশি ক্যাশ মানে ভালো
পারফর্ম্যান্স, বিশেষ করে গেমিংয়ে। উদাহরণস্বরূপ, এএমডির রাইজেন এক্স৩ডি সিরিজে
৯৬এমবি L3 ক্যাশ আছে, যা গেমিং বেঞ্চমার্কে ১০৮০পি রেজোলিউশনে ২০% বেশি এফপিএস
দেয়। ইনটেলের অ্যারো লেক সিরিজে L3 ক্যাশ ৩৬এমবি, কিন্তু তারা এআই ফিচারস দিয়ে
কম্পেনসেট করে। এই প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা তোমাকে বলছে, যদি তুমি
গেমার হও, তাহলে ক্যাশ দেখো-এটা ল্যাগ কমায় এবং স্মুথ এক্সপিরিয়েন্স দেয়।
কিন্তু বেসিক কাজের জন্য ৩২এমবি যথেষ্ট।
চতুর্থত, আর্কিটেকচার এবং জেনারেশন। প্রসেসরের ডিজাইন কতটা অ্যাডভান্সড, সেটা
দেখো। ২০২৫-এ এএমডির জেন ৫ (রাইজেন ৯০০০ সিরিজ) এবং ইনটেলের কোর আলট্রা ২০০ সিরিজ
(অ্যারো লেক) লেটেস্ট। এগুলোতে এআই অ্যাক্সিলারেশন, বেটার ইফিশিয়েন্সি আছে।
বেঞ্চমার্কে, রাইজেন ৯ ৯৯৫০এক্স প্রোডাক্টিভিটি স্কোরে ১০০% পায়, যা পুরনো
জেনারেশনের থেকে ২০-৩০% ভালো। আমি সাজেস্ট করব, সবসময় লেটেস্ট জেনারেশন দেখো,
কারণ এতে ফিউচার-প্রুফিং আছে-মানে, পরবর্তী ৩-৫ বছর চলবে। কিন্তু যদি বাজেট কম,
তাহলে পুরনো জেনারেশন যেমন রাইজেন ৭০০০ সিরিজও ভালো।
পঞ্চম ফ্যাক্টর হলো পাওয়ার কনজাম্পশন এবং থার্মাল ডিজাইন পাওয়ার (TDP)। এটা বলে
প্রসেসর কতটা বিদ্যুৎ খায় এবং কতটা গরম হয়। ল্যাপটপের জন্য লো TDP (১৫-৪৫W)
ভালো, যাতে ব্যাটারি ৮-১০ ঘণ্টা চলে। ডেস্কটপে হাই TDP (১২৫W+) ঠিক আছে, কিন্তু
ভালো কুলার লাগবে। ২০২৫-এর ডেটায়, এএমডি রাইজেন ৫ ৯৬০০এক্স ৬৫W TDP-তে গেমিং
স্কোর ৭২.৮১% পায়, যা ইনটেল কোর আই৫-১৪৬০০কে-এর ১২৫W TDP-এর স্কোর ৭০.৬১% এর
কাছাকাছি কিন্তু কম বিদ্যুৎ খরচ করে। এই প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা
তোমাকে সতর্ক করে যে, যদি তোমার বিদ্যুৎ বিল বা হিটিং ইস্যু থাকে, তাহলে লো TDP
প্রসেসর দেখো। আর, ওভারক্লকিং করতে চাইলে হাই TDP সাপোর্ট করে এমন মাদারবোর্ড
দেখো।
ষষ্ঠত, ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স (iGPU)। যদি তুমি আলাদা জিপিইউ না কিনো, তাহলে
প্রসেসরের ভিতরের গ্রাফিক্স দেখো। ইনটেলের আইরিস এক্সই বা এএমডির র্যাডিয়ন
গ্রাফিক্স লাইট গেমিং এবং ভিডিও প্লেব্যাকের জন্য ভালো। বেঞ্চমার্কে, ইনটেল কোর
আলট্রা ৭ ২৬৫কে-এর iGPU ১০৮০পি গেমিংয়ে ৬০+ এফপিএস দেয় লো সেটিংসে। ল্যাপটপে
এটা বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে পাওয়ার সেভ হয়। কিন্তু যদি তুমি হাই-এন্ড
গেমার হও, তাহলে iGPU-এর উপর নির্ভর করো না।
সপ্তম ফ্যাক্টর হলো কম্প্যাটিবিলিটি এবং প্ল্যাটফর্ম। প্রসেসরটা তোমার
মাদারবোর্ডের সাথে মিলবে কিনা দেখো। ইনটেলের জন্য LGA 1851 সকেট (অ্যারো লেক),
এএমডির জন্য AM5। আর, PCIe 5.0 সাপোর্ট দেখো এসএসডি এবং জিপিইউর জন্য। ২০২৫-এর
বিল্ডে, AM5 প্ল্যাটফর্ম ফিউচার আপগ্রেড সাপোর্ট করে ২০২৭ পর্যন্ত। এই প্রসেসর
বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা তোমাকে বলছে, কেনার আগে মাদারবোর্ডের স্পেক চেক করো,
না হলে কম্প্যাটিবিলিটি ইস্যু হবে। অষ্টমত, প্রাইস টু পারফর্ম্যান্স রেশিও। শুধু
দাম দেখো না, পারফর্ম্যান্সের সাথে তুলনা করো। উদাহরণস্বরূপ, রাইজেন ৭ ৯৭০০এক্স
প্রায় ৩০,০০০ টাকায় মাল্টি-থ্রেড স্কোর ১৫০০+ পায়, যা ভ্যালু ফর মানি। ইনটেল
কোর আই৭-১৪৭০০কে একটু বেশি দামী কিন্তু সিঙ্গল-থ্রেডে ভালো। বেঞ্চমার্ক সাইট যেমন
টমস হার্ডওয়্যার বা ইউটিউব রিভিউ দেখো।
নবম ফ্যাক্টর হলো ওভারক্লকিং হেডরুম। যদি তুমি অ্যাডভান্সড ইউজার হও, তাহলে
প্রসেসর যাতে ওভারক্লক করা যায় সেটা দেখো। ইনটেলের কে-সিরিজ এবং এএমডির
এক্স-সিরিজ এটা সাপোর্ট করে। কিন্তু এতে হিট বাড়ে, তাই ভালো কুলিং লাগবে।
২০২৫-এর গাইডে, ওভারক্লকিং ১০-২০% পারফর্ম্যান্স বাড়াতে পারে, কিন্তু নতুনদের
জন্য স্টক স্পিডই ভালো। দশমত, ফিউচার-প্রুফিং এবং অতিরিক্ত ফিচারস। প্রসেসরে এআই
সাপোর্ট, এনপিইউ (নিউরাল প্রসেসিং ইউনিট) দেখো, যা ২০২৫-এ ইনটেল আলট্রা সিরিজে
আছে। এটা মেশিন লার্নিং কাজে সাহায্য করে। আর, সিকিউরিটি ফিচারস যেমন TPM 2.0
দেখো। এই প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা তোমাকে সাজেস্ট করে, তোমার ২-৩ বছরের
চাহিদা ভেবে বেছে নাও।
ইনটেল বনাম এএমডিঃ কোনটা তোমার জন্য?
এখন আসল মজার অংশ, ইনটেল না এএমডি? দুটো কোম্পানির প্রসেসরই দারুণ, কিন্তু তোমার
কাজের উপর নির্ভর করে। ইনটেলের প্রসেসরগুলো সাধারণত সিঙ্গল-থ্রেড পারফর্ম্যান্সে
এগিয়ে, যেমন কোর আই৫, আই৭, আই৯। এএমডি রাইজেন সিরিজ মাল্টি-থ্রেডে স্ট্রং, যেমন
রাইজেন ৫, ৭, ৯। দামের দিক থেকে এএমডি প্রায়ই সস্তা এবং ভ্যালু ফর মানি। যদি
তুমি ভিডিও এডিটিং বা ৩ডি রেন্ডারিং করো, তাহলে এএমডি রাইজেন ৯ ৯৯৫০এক্স ভালো,
কারণ মাল্টি-থ্রেড স্কোর ১০০% (টমস হার্ডওয়্যার), যা ইনটেল কোর আলট্রা ৯
২৮৫কে-এর থেকে এগিয়ে। কিন্তু গেমিংয়ে ইনটেল কোর আই৯-১৪৯০০কে ১০৮০পি গেমিং স্কোর
৭৭.১০%, যা রাইজেন ৯ ৯৯০০এক্স-এর ৭৪.০৯% থেকে ভালো।
এই প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা সাজেস্ট করে, তোমার সফটওয়্যারের সাথে
কম্প্যাটিবিলিটি চেক করো। উদাহরণস্বরূপ, কিছু গেম ইনটেলে অপটিমাইজড, যেমন
সাইবারপাঙ্ক ২০৭৭-এ ইনটেলে ১০-১৫ এফপিএস বেশি। আমি তোমাকে বলছি, ২০২৫-এ এএমডির
জেন ৫ আর্কিটেকচার পাওয়ার এফিশিয়েন্ট, যা ল্যাপটপে দারুণ।
ডেস্কটপ, ল্যাপটপ বা মোবাইলঃ প্রসেসরের ধরন
প্রসেসরের ধরন তোমার ডিভাইসের উপর নির্ভর করে। ডেস্কটপে হাই-এন্ড প্রসেসর যেমন
ইনটেল কোর আই৯ বা এএমডি রাইজেন ৯ চলে, যা পাওয়ারফুল। উদাহরণ দেই, রাইজেন ৭
৯৮০০এক্স৩ডি গেমিং স্কোর ১০০%, যা ডেস্কটপ গেমারদের জন্য পারফেক্ট। ল্যাপটপে
ইনটেল ইভো বা এএমডি রাইজেন মোবাইল সিরিজ, যা ব্যাটারি ফ্রেন্ডলি। মোবাইলে
কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন বা অ্যাপলের এ-সিরিজ, কিন্তু আমরা ফোকাস করব পিসি
প্রসেসরে।
যদি তুমি ল্যাপটপ কিনো, তাহলে ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স দেখো, যাতে আলাদা জিপিইউ না
লাগে। এই প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা তোমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে, মোবাইল
প্রসেসরে ৫জি সাপোর্ট বা এআই ফিচার দেখো। বেঞ্চমার্কে, ইনটেল কোর আলট্রা ৭ ২৬৫কে
সিঙ্গল-থ্রেড ৯৭.৩%, যা ল্যাপটপে দ্রুত অ্যাপ ওপেন করে। তোমার ডিভাইস কী, সেটা
ভেবে বেছে নাও।
বাজেট অনুযায়ী প্রসেসরের সাজেশন
এখন আমরা কথা বলি বাজেটের উপর ভিত্তি করে প্রসেসরের সাজেশন নিয়ে। আমি জানি,
প্রসেসর কেনার সময় বাজেটটা সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। তোমার পকেটের সাথে মিলিয়ে
সেরা অপশন খুঁজে বের করা দরকার, কারণ বাজারে এতগুলো মডেল আছে যে সহজে কনফিউজড
হয়ে যাওয়া যায়। এই প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা তোমাকে সাহায্য করবে
২০২৫-এর লেটেস্ট প্রাইস এবং বেঞ্চমার্ক দেখিয়ে। আমরা বাজেটকে কয়েকটা
ক্যাটাগরিতে ভাগ করবঃ ১০,০০০ টাকার নিচে, ১০-২০ হাজার, ২০-৪০ হাজার এবং ৪০
হাজারের ওপরে। প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে ২-৩টা সেরা অপশন দেব, সাথে তাদের ব্যবহার
কেস, বেঞ্চমার্ক স্কোর এবং ইন্ডিয়ান মার্কেটের আনুমানিক প্রাইস (ডিসেম্বর ২০২৫
অনুযায়ী, যা অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট বা নেহরু প্লেস থেকে নেয়া)। মনে রেখো, প্রাইস
ফ্লাকচুয়েট করতে পারে, তাই কেনার আগে চেক করো। আর, বেঞ্চমার্কগুলো টমস
হার্ডওয়্যার, পিসিএম্যাগ বা ইউএল বেঞ্চমার্কস থেকে নেয়া, যা রিয়েল-ওয়ার্ল্ড
পারফর্ম্যান্স দেখায়।
১০,০০০ টাকার নিচেঃ বেসিক কাজের জন্য আইডিয়াল
যদি তোমার বাজেট খুব টাইট, তাহলে এই ক্যাটাগরি তোমার জন্য। এখানে প্রসেসরগুলো
অফিস ওয়ার্ক, ওয়েব ব্রাউজিং, ভিডিও স্ট্রিমিং বা লাইট মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য
ভালো। গেমিং বা ভারী এডিটিংয়ের জন্য না, কিন্তু ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স থাকায়
আলাদা জিপিইউ না লাগতে পারে।
- AMD Ryzen 3 3200G: এটা একটা ক্লাসিক চয়েস, ৪ কোর/৪ থ্রেড সাথে র্যাডিয়ন ভেগা ৮ গ্রাফিক্স। প্রাইস প্রায় ৫,৬০০ টাকা। বেঞ্চমার্কে, সিনেবেঞ্চ মাল্টি-থ্রেড স্কোর প্রায় ১,৫০০, যা বেসিক কাজে স্মুথ। লাইট গেমিংয়ে ৭২০পি রেজোলিউশনে ৩০+ এফপিএস দেয়। এটা স্টুডেন্ট বা হোম ইউজারদের জন্য পারফেক্ট, কারণ পাওয়ার কনজাম্পশন কম (৬৫W TDP)।
- Intel Core i3-10100F: ৪ কোর/৮ থ্রেড, প্রাইস প্রায় ৭,৫০০ টাকা। এতে ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স নেই, তাই জিপিইউ লাগবে। বেঞ্চমার্কে, গীকবেঞ্চ সিঙ্গল-কোর স্কোর ১,২০০+, যা ইনটেলের সিঙ্গল-থ্রেড পারফর্ম্যান্সে এগিয়ে রাখে। অফিস অ্যাপসে দারুণ, কিন্তু গেমিংয়ে লো সেটিংসে চলে।
- AMD Athlon 3000G: সুপার বাজেট অপশন, প্রাইস ৪,৫০০ টাকা। ২ কোর/৪ থ্রেড সাথে ভেগা ৩ গ্রাফিক্স। বেঞ্চমার্কে, মাল্টি-থ্রেড স্কোর ৮০০+, যা খুব বেসিক কাজের জন্য। যদি তোমার পিসি শুধু ইমেইল আর ডকুমেন্টের জন্য, তাহলে এটা চলবে।
এই ক্যাটাগরিতে ফোকাস করো ভ্যালু ফর মানিতে-এএমডি প্রায়ই সস্তা এবং
ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স দেয়।
১০-২০ হাজার টাকাঃ মিড-রেঞ্জ, গেমিং এবং প্রোডাক্টিভিটির শুরু
এখানে তোমার প্রসেসরগুলো ১০৮০পি গেমিং, ভিডিও এডিটিং বা মাল্টিটাস্কিংয়ে ভালো
পারফর্ম করবে। বাজেট গেমার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আইডিয়াল।
- AMD Ryzen 5 5600: ৬ কোর/১২ থ্রেড, প্রাইস প্রায় ১২,০০০ টাকা। বেঞ্চমার্কে, গেমিং স্কোর ৭২.৮১% (টমস হার্ডওয়্যার হাইরার্কি), এবং সিনেবেঞ্চ মাল্টি-থ্রেড ১২,০০০+। এটা ১০৮০পি গেমিংয়ে ৬০+ এফপিএস দেয়, বিশেষ করে আরটিএক্স ৩০৬০ সাথে। পাওয়ার এফিশিয়েন্ট (৬৫W), তাই ল্যাপটপ বা ছোট পিসিতে ভালো।
- Intel Core i5-12400F: ৬ কোর/১২ থ্রেড, প্রাইস ১৫,০০০ টাকা। সিঙ্গল-থ্রেড স্কোর ৮৪.২%, যা গেমিংয়ে এএমডির থেকে একটু এগিয়ে। অ্যাডোবি প্রিমিয়ারে ভিডিও রেন্ডারিং ২০% দ্রুত। যদি তোমার সফটওয়্যার ইনটেল অপটিমাইজড, তাহলে এটা নাও।
- AMD Ryzen 5 7500F: নতুন অপশন, প্রাইস ১৪,৯৯০ টাকা। ৬ কোর/১২ থ্রেড, গেমিং বেঞ্চমার্কে ৭৫%+। এটা ফিউচার-প্রুফ, কারণ এএম৫ সকেট সাপোর্ট করে। লাইট কনটেন্ট ক্রিয়েশনে দারুণ।
২০-৪০ হাজার টাকাঃ হাই-পারফর্ম্যান্স, গেমিং এবং ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ক
এই রেঞ্জে প্রসেসরগুলো ১৪৪০পি গেমিং, ৪কে ভিডিও এডিটিং বা ৩ডি রেন্ডারিংয়ে
স্ট্রং। প্রফেশনাল ইউজার বা সিরিয়াস গেমারদের জন্য।
- AMD Ryzen 7 8700F: ৮ কোর/১৬ থ্রেড, প্রাইস ২২,৯৯০ টাকা। মাল্টি-থ্রেড স্কোর ১৫,০০০+, গেমিংয়ে ৮১.৩০%। ভিডিও এডিটিংয়ে দারুণ, কারণ বেশি কোর। পাওয়ার ৬৫W, তাই কুলিং সহজ।
- Intel Core i7-14700K: ২০ কোর/২৮ থ্রেড, প্রাইস ৩৫,০০০ টাকা। বেঞ্চমার্কে, সিনেবেঞ্চ মাল্টি-থ্রেড ৩০,০০০+, গেমিংয়ে ৮৭.০%। ওভারক্লকিং সাপোর্ট করে, তাই পারফর্ম্যান্স বাড়ানো যায়। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আইডিয়াল।
- AMD Ryzen 7 9700X: ৮ কোর/১৬ থ্রেড, প্রাইস ৩০,০০০ টাকা। গেমিং স্কোর ৮৫%+, এআই ফিচারস সাথে। ২০২৫-এর লেটেস্ট, ফিউচার আপগ্রেডের জন্য ভালো।
৪০ হাজার টাকার ওপরেঃ টপ-এন্ড, প্রফেশনাল এবং হাই-এন্ড গেমিং
যদি বাজেট নো ইস্যু, তাহলে এখানে প্রসেসরগুলো সবকিছু হ্যান্ডেল করবে-৪কে
গেমিং, কমপ্লেক্স রেন্ডারিং বা সার্ভার ওয়ার্ক।
- AMD Ryzen 9 9950X: ১৬ কোর/৩২ থ্রেড, প্রাইস ৫০,০০০ টাকা। মাল্টি-থ্রেড স্কোর ৪০,০০০+, গেমিংয়ে ১০০%। কনটেন্ট ক্রিয়েটর বা ৩ডি আর্টিস্টদের জন্য সেরা।
- Intel Core i9-14900K: ২৪ কোর/৩২ থ্রেড, প্রাইস ৪৫,০০০ টাকা। সিঙ্গল-থ্রেড ৯৭.৩%, গেমিংয়ে ৭৭.১০%। হাই-এন্ড গেমিংয়ে লিড করে।
- AMD Ryzen 9 9950X3D: গেমিং স্পেশালিস্ট, প্রাইস ৫৫,০০০ টাকা। ৩ডি ভি-ক্যাশ সাথে, গেমিং স্কোর ১০০%+। যদি তোমার ফোকাস গেমিং, তাহলে এটা।
| বাজেট | সেরা সাজেশন | ব্যবহার কেস | বেঞ্চমার্ক হাইলাইট | আনুমানিক প্রাইস |
|---|---|---|---|---|
| <১০,০০০ টাকা | Ryzen 3 3200G | বেসিক অফিস, ব্রাউজিং | মাল্টি-থ্রেড ১,৫০০ | ৫,৬০০ টাকা |
| ১০-২০ হাজার | Ryzen 5 5600 | ১০৮০পি গেমিং, লাইট এডিটিং | গেমিং ৭২.৮১% | ১২,০০০ টাকা |
| ২০-৪০ হাজার | Ryzen 7 8700F | মিড-লেভেল গেমিং, ভিডিও এডিটিং | গেমিং ৮১.৩০% | ২২,৯৯০ টাকা |
| >৪০ হাজার | Ryzen 9 9950X | হাই-এন্ড ক্রিয়েটিভ, ৪কে গেমিং | মাল্টি-থ্রেড ৪০,০০০+ | ৫০,০০০ টাকা |
আরো পড়ুনঃ
উইন্ডোজ ১০ - টাস্কবার ফ্রিজ হলে কি করবেন
প্রসেসর কেনার আগে যা চেক করবে
প্রসেসর কেনার আগে তোমাকে কয়েকটা জরুরি জিনিস চেক করতে হবে যাতে পরে কোনো
সমস্যা না হয়। প্রথমে স্পেক শিটটা ভালো করে দেখো। এতে কোর কাউন্ট, থ্রেড
সংখ্যা, ক্লক স্পিড (বেস এবং বুস্ট), ক্যাশ মেমরি এবং থার্মাল ডিজাইন পাওয়ার
(টিডিপি) দেখো। উদাহরণস্বরূপ, যদি তুমি গেমিং করো, তাহলে উচ্চ ক্লক স্পিড এবং
বেশি ক্যাশ দরকার, যেমন এএমডি রাইজেন ৯ ৯৯৫০এক্স-এর ১৬ কোর এবং ৩২ থ্রেড
সিনেবেঞ্চে মাল্টি-থ্রেড স্কোর প্রায় ৪০,০০০ পায়। টিডিপি দেখো কারণ এটা বলে
প্রসেসর কতটা বিদ্যুৎ খায় এবং গরম হয়-ল্যাপটপের জন্য ৪৫ওয়াটের নিচে ভালো,
কিন্তু ডেস্কটপে ১২৫ওয়াট+ও ঠিক যদি ভালো কুলিং থাকে। আর, আর্কিটেকচার চেক
করো, যেমন ২০২৫-এ এএমডির জেন ৫ বা ইনটেলের অ্যারো লেক সিরিজে এআই ফিচারস আছে
যা ফিউচার-প্রুফ করে। এগুলো না দেখলে তোমার চাহিদার সাথে মিলবে না।
দ্বিতীয়ত, কম্প্যাটিবিলিটি চেক করো, মানে প্রসেসরটা তোমার সিস্টেমের সাথে
মিলবে কিনা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সকেট টাইপ-ইনটেলের লেটেস্ট অ্যারো
লেকের জন্য এলজিএ ১৮৫১ সকেট, আর এএমডির রাইজেন ৯০০০ সিরিজের জন্য এএম৫ সকেট।
যদি তোমার মাদারবোর্ড পুরনো হয়, তাহলে নতুন প্রসেসর ফিট হবে না, তাই
মাদারবোর্ডের স্পেক দেখো। আর, র্যামের কথা ভুলো না-২০২৫-এ বেশিরভাগ নতুন
প্রসেসর ডিডিআর৫ সাপোর্ট করে, কিন্তু কিছু পুরনো মডেল ডিডিআর৪-এ চলে। পিসিআইই
৫.০ সাপোর্ট দেখো যাতে ফাস্ট এসএসডি বা জিপিইউ চালাতে পারো। উদাহরণ দেই,
এএমডির এএম৫ প্ল্যাটফর্ম ২০২৭ পর্যন্ত সাপোর্ট করবে, যা ইনটেলের থেকে
লং-টার্ম ভ্যালু দেয়। এটা না চেক করলে পরে আপগ্রেডের খরচ বাড়বে।
তৃতীয়ত, পারফর্ম্যান্স চেক করার জন্য বেঞ্চমার্ক এবং রিভিউ পড়ো। শুধু
কোম্পানির দাবি বিশ্বাস করো না, রিয়েল-ওয়ার্ল্ড টেস্ট দেখো যেমন টমস
হার্ডওয়্যার বা পিসিএম্যাগের হাইরার্কি চার্ট। ২০২৫-এ এএমডি রাইজেন ৭
৯৮০০এক্স৩ডি গেমিংয়ে ১০০% স্কোর পায়, যা ইনটেল কোর আলট্রা ৯ ২৮৫কে-এর থেকে
এগিয়ে। সিনেবেঞ্চ, গীকবেঞ্চ বা ৩ডিমার্কের স্কোর দেখো-গেমিংয়ের জন্য
সিঙ্গল-থ্রেড, আর প্রোডাক্টিভিটির জন্য মাল্টি-থ্রেড ফোকাস করো। ইউটিউব রিভিউ
দেখো যাতে হিট, নয়েজ এবং পাওয়ার খরচের আইডিয়া পাও। আর, ইনটেলের ১৩তম বা
১৪তম জেনারেশনের ডিফেক্টস নিয়ে সতর্ক থাকো, যেমন ভোল্টেজ ইস্যু যা চিপ নষ্ট
করতে পারে। এগুলো চেক করে তোমার কাজের সাথে মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নাও।
শেষে, প্র্যাকটিকাল জিনিসগুলো দেখো যেমন ওয়ারেন্টি, সেলারের রিলায়েবিলিটি
এবং কুলিং। প্রসেসরের ওয়ারেন্টি সাধারণত ৩ বছর হয়, কিন্তু চেক করো যাতে
ডিফেক্টিভ হলে রিটার্ন করতে পারো। অনলাইনে কিনলে অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্টের
রিভিউ পড়ো, আর অফিশিয়াল সেলার থেকে কেনো যাতে ফেক প্রোডাক্ট না পাও। কুলিং
চেক করো-হাই-এন্ড প্রসেসরের জন্য ভালো এয়ার বা লিকুইড কুলার লাগবে, না হলে
থ্রটলিং হবে। প্রাইস কম্পেয়ার করো বিভিন্ন সাইটে, আর সেলসের সময় কেনো। যদি
তুমি নতুন বিল্ড করো, তাহলে ফিউচার আপগ্রেডের কথা ভাবো, যেমন এএমডির এএম৫
লং-টার্ম সাপোর্ট। এগুলো করে তোমার কেনা স্মার্ট হবে।
সাধারণ ভুল এড়ানোর টিপস
অনেকে শুধু দাম দেখে কেনে, কিন্তু কাজের সাথে মিলায় না। আরেকটা ভুল হলো
ওভারক্লকিংয়ের চিন্তা না করা। যদি তুমি অ্যাডভান্সড না হও, তাহলে স্টক
স্পিডেই থাকো। পুরনো মডেল কেনো না, নতুন জেনারেশন যেমন জেন ৫-এ বেটার
এফিশিয়েন্সি। এই প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা তোমাকে সতর্ক করে, ফেক
প্রোডাক্ট থেকে সাবধান। অফিশিয়াল সেলার থেকে কেনো। বেঞ্চমার্ক না চেক করে
কেনো না, কারণ কাগজে স্পেক ভালো লাগলেও রিয়েল পারফর্ম্যান্স আলাদা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
মাইক্রোসফট Copilot লেখালেখি অটোমেশন
উপসংহার
এখন তোমার কাছে একটা ক্লিয়ার আইডিয়া আছে কীভাবে প্রসেসর বাছাই করবে। মনে
রেখো, তোমার চাহিদা, বাজেট এবং বেঞ্চমার্ক দেখে সিদ্ধান্ত নাও। যদি আরও
প্রশ্ন থাকে, কমেন্ট করো। এই প্রসেসর বাছাই করার সহজ গাইড বাংলা তোমাকে
সাহায্য করেছে আশা করি। ধন্যবাদ পড়ার জন্য!





ইনফোনেস্টইনের শর্তাবলী মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট পর্যাবেক্ষন করা হয়।
comment url